কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
লিউ নামে চীনের ওই মহিলা অ্যাপলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে তাঁর শখের ফোনটি অর্ডার করেছিলেন। এই মুহূর্তে অ্যাপলের আধুনিকতম মডেল টুয়েলভ প্রো ম্যাক্স ফোনটিই কিনতে চেয়েছিলেন তিনি। দাম নেহাতই কম নয়, দেড় হাজার ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। অনলাইনে অর্ডার করে বেশ খুশিতেই ছিলেন লিউ। অর্ডারমতো পার্সেলও পৌঁছয় তাঁর হাতে। সেটি খুলতেই তাজ্জব তিনি। ফোনের কোনও নামগন্ধ নেই। পার্সেলে যত্ন করে রাখা একটি লস্যির প্যাকেট। যা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
ওই মহিলার অভিযোগ, ‘ফোনের পরিবর্তে দইয়ের শরবত! একেবারে মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।’ শুধু অভিযোগ তুলেই থেমে থাকেননি তিনি। গোটা বিষয়টি পুলিসকেও জানিয়েছেন। ঘটনাটি নিয়ে হতভম্ব অ্যাপল কর্তৃপক্ষও। তাদের বক্তব্য, ‘অর্ডার মতো ওই ক্রেতার ঠিকানায় ফোনই ডেলিভারি করা হয়েছে।’ একই দাবি সংশ্লিষ্ট ক্যুরিয়ার সংস্থারও। তা হলে কেন ওই মহিলা এমনটা দাবি করছেন, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে তারা।
জানা গিয়েছে, লিউ নিজের হাতে পার্সেলটি রিসিভ করেননি। তাঁর বাড়ির পার্সেল লকারে ফোনটি ডেলিভারি দেওয়ার জন্য জানিয়েছিলেন তিনি। সেইমতোই ডেলিভারি হয়। লিউ জানিয়েছেন, কোনও থার্ড পার্টি সেলারের কাছ থেকে নয়, তিনি অ্যাপলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেই ফোনটি অর্ডার করেছিলেন। সেক্ষেত্রে কীভাবে এই ঘটনা ঘটতে পারে, তা বুঝে উঠতে পারছেন না। ঘটনাটি তিনি প্রকাশ্যে আনতেই ব্যাপক আলোড়ন পড়েছে নেট-দুনিয়ায়। চীনের নাগরিকদের নানা মন্তব্যে ভরে উঠছে সোশ্যাল মিডিয়ার একাদিক ওয়াল।