কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আদতে বাংলাদেশের বাসিন্দা শামিমা ব্রিটেনে থাকতেন। তবে আইএসে যোগ দেওয়ার পর যখন তিনি পুনরায় ব্রিটেনে ফিরে আসতে চান তখন আর তাঁকে ফেরার অনুমতি দেয়নি সেদেশের প্রশাসন। এমনকী তাঁর নিজের বাংলাদেশও শামিমাকে ফিরিয়ে নিতে চায়নি। আইএসের গড় থেকে পালাতে সক্ষম হলেও ব্রিটেন আর বাংলাদেশে জায়গা না হওয়ায় অবশেষে উত্তর সিরিয়ার ত্রাণ শিবির তাঁর আশ্রয়স্থল। দিনরাত কড়া সেনা প্রহরায় এখন দিন কাটাচ্ছেন শামিমা। আর নিয়ম করে বার বার ব্রিটেনে ফিরে আসার জন্য আইনি লড়াই লড়ে যাচ্ছেন। শুক্রবারও ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্টে শামিমার আবেদনের শুনানি ছিল। কিন্তু এদিনও ফের সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, বছর তিনেক আগে শামিমার ব্রিটেনের নাগরিকত্ব বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছিলেন শামিমা। কিন্তু ফের সেই আবেদন এদিন খারিজ করে দেওয়া হয়।
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাত্র ১৫ বছর বয়সে লন্ডন থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন শামিমা। উদ্দেশ্য ছিল সিরিয়ায় গিয়ে আইএসে যোগ দেবেন। তারপর ২০১৯ সালে শামিমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করার নির্দেশ জারি করেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। তবে শামিমা সুপ্রিম কোর্টে ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আদালতকে জানায়, যেহেতু শামিমা আইএসের ডেরা থেকে ঘুরে এসেছে, তাই তাঁকে দেশে ঢুকতে দেওয়া হলে তা অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট লর্ড রিড বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আবেদনকে গুরুত্ব দিয়ে শামিমা বেগমের চ্যালেঞ্জ খারিজ করা হল। শামিমাকে দেশে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না।