কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বৃহস্পতিবার ওয়েস্টমিনস্টারের ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে নীরবের প্রত্যর্পণ মামলার শুনানি ছিল। ডিস্ট্রিক্ট জাজ স্যামুয়েল গুজি জানান, মোদির বিরুদ্ধে পিএনবি দুর্নীতি মামলায় যে তথ্যপ্রমাণ মিলেছে তাতে আদালত সন্তুষ্ট। ভারতের তরফে পিএনবি মামলার ১৬ দফা প্রমাণ ব্রিটেন প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছিল। সেইসব প্রমাণ বিশ্লেষণ করে বিচারক গুজি বলেন, নীরবের বিরুদ্ধে যা প্রমাণ মিলেছে তাতে দুর্নীতি মামলায় তাঁর সাজা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এবার ভারতীয় আদালতেই নীরবের জবাব দেওয়ার সময় এসেছে।
ভারতে ইতিমধ্যেই ইডি এবং সিবিআই নীরবের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে। কাজেই ভারতে ঢোকার পরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন আদালতের শুনানিতে ওয়ান্ডসওয়ার্থ জেল থেকে ভিডিও কনফারেন্সে নীরব হাজিরা দেন। আদালতে ছিলেন নীরবের আইনজীবী। আত্মপক্ষ সমর্থনে তিনি বলেন, মামলার স্বচ্ছ শুনানি হচ্ছে না। এছাড়া নীরব আত্মহত্যাপ্রবণ। তাই তাঁর সঠিক চিকিৎসা এবং মানবাধিকার ইস্যুতে প্রত্যর্পণের বিষয় পুনর্বিবেচনা করা হোক। যদিও আদালত সেই বিষয়গুলিতে আমল দেয়নি। বিচারক গুজি জানান, মুম্বইয়ের আর্থার রোড কারাগারের ১২ নম্বর বারাকে নীরবকে রাখার ব্যাপারে ভারতীয় প্রশাসন নিশ্চিত করেছে। এবং সেখানে নীরবের থাকার জন্য সুষ্ঠু ব্যবস্থা করা হয়েছে। কাছাকাছিই রয়েছে হাসপাতাল। কাজেই তাঁর মানসিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
জানা গিয়েছে, আদালতের প্রত্যর্পণের অনুমতিতে এবার মার্কিন স্বরাষ্ট্র সচিব সাক্ষর করবেন। তার সময়সীমা আগামী ২ মাস। সাধারণত প্রত্যর্পণ ইস্যুতে আদালত সম্মতি দেওয়ার পর স্বরাষ্ট্র সচিব তা নাকচ করেছেন, এমন নজির বিরল। যদি কোনও মামলায় মৃত্যুদণ্ডের সম্ভাবনা থাকে, সেক্ষেত্রে প্রত্যর্পণে সম্মতি দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র সচিব দ্বিতীয়বার ভেবে দেখেন। নীরবের ক্ষেত্রে পিএনবির ১৪ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ছাড়াও অন্য বেশকিছু অভিযোগ রয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলায় মৃত্যুদণ্ডের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। কাজেই বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, মোদির ভারতে প্রত্যর্পণ এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। খুব শীঘ্রই নীরব সে দেশের উচ্চ আদালতে এদিনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করবেন বলে খবর। তবে প্রত্যর্পণের নির্দেশকে উচ্চ আদালত বহাল রাখবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
একনজরে নীরব মামলা
২৯ জানুয়ারি, ২০১৮: নীরব মোদি এবং মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের পিএনবির
৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত শুরু
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: মামলার প্রথম গ্রেপ্তার। ধৃত পিএনবির দুই কর্মচারী এবং নীরব মোদির সংস্থার এক এগজিকিউটিভ। চার সপ্তাহের জন্য নীরব ও চোকসির পাসপোর্ট বাতিল
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: নীরবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
২ জুন, ২০১৮: নীরবের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড কর্নার নোটিস
৩ আগস্ট, ২০১৮: নীরবকে প্রত্যর্পণের জন্য ব্রিটেন প্রশাসনকে আবেদন ভারতের
৯ মার্চ, ২০১৯: নীরব ব্রিটেনেই রয়েছেন বলে সেদেশের সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ
১৮ মার্চ, ২০১৯: নীরবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ওয়েস্টমিনস্টার কোর্টের
২০ মার্চ, ২০১৯: লন্ডন থেকে গ্রেপ্তার নীরব মোদি। আদালতে তাঁর জামিন নাকচ। পাঠানো হল ওয়ার্ডসওয়ার্থ জেলে