কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ফ্লোরিডার বাসিন্দা এক মহিলার সঙ্গে আগে থেকেই সম্পর্ক ছিল জোসেফের। এনগেজমেন্ট রিং ও ওয়েডিং ব্যান্ড পরিয়ে তাঁর সঙ্গে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই ওই ব্যক্তির জীবনে এসে পড়েন আরও এক মহিলা। ধীরে ধীরে ভুলতে থাকেন বাগদত্তাকে। এর মধ্যেই চলে আসে ভ্যালেন্টাইন্স ডে। নতুন প্রেমিকাকে কিছু একটা উপহার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু ট্যাঁকে জোর নেই। আবার জুতসই উপহার না হলে প্রেমিকার মন জয়ও করা যাবে না। সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতেই ঠিক করে ফেলেন পুরনো প্রেমিকাকে যে এনগেজমেন্ট রিং আর ওয়েডিং ব্যান্ড দিয়েছিলেন, সেগুলি চুরি করেই তুলে দেবেন নতুন প্রেমিকার হাতে। যেমন ভাবা তেমনই কাজ। জোসেফের কাছ থেকে ভালোবাসার উপহার পেয়ে বেজায় খুশি প্রেমিকা। তড়িঘড়ি সেসবের ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন ফেসবুকে। সেই ছবি দেখে চক্ষুচড়কগাছ জোসেফের বাগদত্তার। নিজের অলঙ্কার চিনতে ভুল করেননি তিনি। গয়নার বাক্স খুলতেই আশঙ্কা সত্যি হয় তাঁর। দেখেন, শুধু এনগেজমেন্ট রিং কিংবা ওয়েডিং ব্যান্ড নয়, খোয়া গিয়েছে আরও কিছু মূল্যবান অলঙ্কারও। চুরি যাওয়া গয়নার মধ্যে তাঁর ঠাকুমার দেওয়া একটি হীরের আংটিও না পেয়ে মুষড়ে পড়েন ওই মহিলা। পুলিসে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি তিনি যোগাযোগ করেন জোসেফের নতুন প্রেমিকার সঙ্গেও। তখনই ফাঁস হয়ে যায় ওই ব্যক্তির যাবতীয় কীর্তি। নতুন সম্পর্কের কথা লুকোতে দুই প্রেমিকার কাছে দু’রকম পরিচয় দিয়েছিলেন জোসেফ। একজনকে তিনি নিজের নাম বলেছিলেন জো ব্রাউন। অন্যজনের কাছে মার্কাস ব্রাউন।
জোসেফের ছলচাতুরির অবশ্য এখানেই শেষ নয়। জানা গিয়েছে, নিজের বাড়ি দেখাতে নতুন প্রেমিকাকে বাগদত্তার বাড়িতেই এনেছিলেন জোসেফ। বাগদত্তা তখন কর্মস্থলে ছিলেন। এই সুযোগে ফাঁকা বাড়িতে কিছুটা সময় দু’জনে কাটান। এর পর নতুন প্রেমিকাকে সেখানে অপেক্ষা করতে বলেই বেপাত্তা হয়ে যান ওই ব্যক্তি। এদিকে সময় পেরিয়ে গেলেও জোসেফ আর ফেরেন না। শেষমেশ ওই বাড়ি ছাড়েন তাঁর প্রেমিকাও।