গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
হেলমেট পরিহিত ওই বাইক আরোহী আসলে একটি সংস্থার ডেলিভারি বয়। চা ছুঁড়ে মারার বরাত পেয়েছিলেন তিনি। সেই কাজ সুষ্ঠুভাবে হাসিল করে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। আর ফিস ফিস করে বলে গেলেন—‘এটাই আমার অর্ডার ছিল। এর জন্য টাকা পেয়েছি। আমাকে বলা হয়েছিল চা’টা আপনার মুখে ছুঁড়ে মারতে। সেটাই করলাম। আমার অপরাধ ক্ষমা করবেন।’
কিন্তু প্রেমদিবসে গিফটের বদলে এই অর্ডার কে দিলেন? লেখা ছিল ওই চিরকুটেই। তিনি চা-আক্রান্ত যুবকের প্রাক্তন বান্ধবী। অর্ডারে লেখা রয়েছে, ‘ওঁর হাতে চায়ের কাপ ধরিয়ে দেবেন না। মুখ লক্ষ্য করে ছুঁড়ে মারবেন।’ ডেলিভারি বয় সেই মতোই কাজ করেছেন। চিরকুটে প্রাক্তনীর এই বার্তা পড়ে যুবকটি কিছু বলতে পারেননি। হয়তো ভেবেছেন যে, প্রেমদিবসে সঙ্গীকে হারানোর যন্ত্রণা ভুলতে না পেরেই এভাবে সবার সামনে প্রতিশোধ নিলেন। রাস্তার মানুষের গাদা ভিড়ে কিছুটা অপ্রস্তুতে পড়লেও প্রাক্তন প্রেমিকার এই ছেলেমানুষিকে হয়তো মাফ করে দিয়েছেন ওই যুবক।
তবে ওই ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ কে বা কারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেয়। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়। সরগরম হয়ে ওঠে নেট-দুনিয়া। বেশিরভাগই গোটা ঘটনাটিকে মজার ছলে নিয়েছেন। কেউ কেউ আবার ডেলিভারি বয়ের নির্দেশ পালনকে বাহবা দিয়েছেন। কয়েক মিনিটের ওই ক্লিপিংসে আসল ঘটনা কী তা পুরোটা জানা সম্ভব নয়। কেন ওই যুবকের বান্ধবী এভাবে প্রতিশোধ নিলেন তাও জানা যায়নি। এহেন ঘটনা অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগে ব্রিটেনে প্রেমিকের প্রতারণা ধরে ফেলেন এক যুবতী। শিক্ষা দিতে পোস্টার ছাপিয়ে সেই জালিয়াতির প্রচার করে বাজারে হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছিলেন তিনি। চীনের ওই প্রেমিকাও ঠিক তাই করলেন বলে মনে করছেন নেট-নাগরিকরা।