কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
নরওয়ের ব্ল্যাক মেটাল ও মেটাল মিউজিকের ভক্ত ওই যুবক। সারাক্ষণ এসব নিয়েই মেতে থাকেন। নিজেকে পরিচয় দেন ‘প্রিন্স মিডনাইট’ বলে। তাঁর সঙ্গীতের প্রেমে পড়ার পিছনে অন্যতম অবদান ছিল কাকা ফিলিপের। তাই কাকার মৃত্যুর পরও তাঁকে বাঁচিয়ে রাখতে চান প্রিন্স। সেকারণে শেষকৃত্য না করে তাঁর হাড়গোড় দিয়েই বানিয়ে ফেলেন ৬ স্ট্রিং বা তারের ইলেকট্রিক গিটার। যুবকের কথায়, কাকা মারা গিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তাঁকে সুরের ভূবনে বাঁচিয়ে রাখতে, তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতেই এ হেন সিদ্ধান্ত। শুধু হাড় দিয়ে গিটার বানানোই নয়, সেটি বাজিয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন প্রিন্স। ঝড়ের গতিতে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু মরা মানুষের হাড় দিয়ে তৈরি গিটার শুনে অনেকে আবার আঁতকেও উঠেছেন।
কাকার হাড় দিয়ে তৈরি গিটারটিকে বেস গিটার হিসেবে ব্যবহার করেন প্রিন্স। তাতে স্ট্রিং, নব, গিটার নেক, জ্যাক, পিকআপস ও ইলেক্ট্রনিক বোর্ড লাগিয়েছেন। এমন এক উদ্ভট কাজ নিয়ে ওই যুবকের বক্তব্য, মেটাল মিউজিকের প্রতি আমার অনুরাগ বরাবরই। এর পিছনে আসল মানুষটি ছিলেন আমার কাকা। তাঁর হাড় দিয়ে গিটার বানাতে গিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়েছে আমাকে। এটা সত্যিই, আমার কাছে গিটার বানানোটা ছিল একটা চ্যালেঞ্জের। দু’জন কাঠমিস্ত্রিকে বলেছিলাম। কিন্তু তাঁরা বিষয়টি শোনামাত্রই হাতগুটিয়ে নেন। অবশেষে আমি নিজেই বানিয়ে ফেলি। এ ধরনের একটি কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত। ওই গিটারে সুর তুললেই আমি কাকার সংস্পর্শ অনুভব করি। আমার জীবনে তাঁর কী সাঙ্ঘাতিক প্রভাব ছিল, তাও টের পাই।
মৃত্যুর পর ফিলিপের দেহ মেডিক্যাল কলেজকে দান করা হয়। সেখানে ডাক্তারি পড়ুয়াদের জন্য তাঁর হাড়গোড় ব্যবহার করার কথা ছিল। কিন্তু একসময় মেডিক্যাল কলেজের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, দেহটি আর তাঁদের প্রয়োজন নেই। আবার পরিবারও তখন দেহটির শেষকৃত্য করতে অরাজি ছিল। তখনই প্রিন্স সিদ্ধান্ত নেন, কাকার শরীরের হাড় দিয়ে গিটার বানাবেন তিনি। ওই যুবকের কথায়, গিটারে সুর তুলেই প্রতিদিন আমি কাকার জীবনকে উদযাপন করি। তাঁর প্রতি অর্পণ করি শ্রদ্ধাঞ্জলি।