কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
২০১৮ সালের জুলাইয়ের এক রাত। নাইট ডিউটি সেরে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে চোখ লেগে গিয়েছিল ওই যুবকের। আর তাতেই ভয়ানক দুর্ঘটনা। গাড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে যায়। জো ডাইমিওকে যখন গাড়ি থেকে বের করা হয়, তখন শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায় মুখ, ঠোঁট আর দু’হাত। প্রায় চার মাস হাসপাতালে চিকিৎসা চলে যুবকের। তার মধ্যে আড়াই মাস তাঁকে ডাক্তারি প্রক্রিয়ায় কোমায় রাখা হয়। তারপর জ্ঞান ফিরে এলেও মৃত্যুর থেকেও কঠিন হয়ে ওঠে জীবনধারণ। কিন্তু হাল ছাড়েননি জো। তাঁর মনে আশার আলো জাগান নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাঙ্গন হেলথের চিকিসকরা। তাঁদেরই বছর তিনেকের অদম্য প্রচেষ্টায় অবশেষে জীবন ফিরে পেলেন জো। গত বুধবার চিকিৎসক দল জানিয়েছে, অস্ত্রোপচারের পর ওই যুবক এখন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছেন।
তবে সেই চিকিৎসা পদ্ধতিও মোটেই সহজ ছিল না। ২০২০ সালের ১২ আগস্ট অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে বিরল অস্ত্রোপচার হয়। সার্জেন এডুয়ার্ডো রডরিগেজের নেতৃত্বে ৯৬ জন স্বাস্থ্যকর্মীর সহযোগিতায় ২৩ ঘণ্টা ধরে অপারেশনে চলে। তবে অপারেশনের টেবিলেও মানসিকভাবে অত্যন্ত দৃঢ় ছিলেন জো। চিকিৎসক রডরিগেজ বলেন, ‘মানসিকভাবে এতটা দৃঢ় রোগী আমি আগে দেখিনি।’ এই নিয়ে চতুর্থবার মুখমণ্ডল প্রতিস্থাপনের অপারেশন করলেন রডরিগেজ। এবং এই প্রথম একইসঙ্গে হাত প্রতিস্থাপন। এর আগেও দু’বার মুখ ও হাত একসঙ্গে প্রতিস্থাপনের চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু একটিও সফল হয়নি।
জো ডাইমিওর জন্য মুখমণ্ডল ও হাত দান করেছেন ডেলাওয়ারের এক মৃত্যুপথযাত্রী। তাঁর পুরো মুখ অর্থাৎ কপাল, ভ্রু, চোখের পাতা, দুই কান, নাক, ঠোঁট, গাল ও থুতনির হাড়ের পাশাপাশি দু’হাতের পুরোবাহুর মধ্যভাগ পর্যন্ত হাড়, তিনটি প্রধান স্নায়ু, ছ’টি ধমনী এবং ২১টি ট্যান্ডন প্রতিস্থাপন করা হয়। বিরল এই অপারেশন ব্যর্থ হলে জো’র জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারত। বা তিনি মারাও যেতে পারতেন। তবে চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় এই অস্ত্রোপচার সফল হয়। নতুন জীবন পেয়ে দাতা এবং তাঁর পরিবারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জো।