গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলা নড়িয়ে দিয়েছে মার্কিন গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের বিবেক। তাই প্রিয়জনরাই পুলিসকে খবর দিয়ে হামলাকারীদের সম্পর্কে তথ্য তুলে দিচ্ছেন। জুনের কথাই ধরা যাক। জেব্রা প্রিন্টের ওভারকোট পরিহিতা এক মহিলাকে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলা চালানোর নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে। তিনিই হামলাকারীদের পেলোসির অফিসের দিকে যেতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর তিনি পেলোসির ল্যাপটপ চুরি করেন। পুলিস তাঁর হদিশ পাচ্ছিল না। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর হামলা চালানোর ভিডিও পোস্ট করেছিলেন জুনই। আর তাঁর সেই ভিডিও দেখে পুলিসকে খবর দেন তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক। অপরদিকে পুলিসকে জুনের মা জানান, কাউকে কিছু না জানিয়ে তাঁর মেয়ে ব্যাগে করে কিছু নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে।
পরে তাঁকে বাড়ি থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়। চার্জশিটে পুলিস জানিয়েছে, ল্যপটপটি রাশিয়ার এক বন্ধুকে পাঠাতে চেয়েছিল জুন। আর সেই বন্ধুর মাধ্যমে ওই ল্যাপটপ পৌঁছত রাশিয়ার গোয়েন্দা দপ্তরের হাতে। তবে ল্যাপটপটি কেবল প্রেজেন্টেশনের জন্য ব্যবহৃত হতো বলে জানিয়েছে পেলোসির দপ্তর।
হামলাকারীদের মধ্যে ছিলেন অলিম্পিকে দু’বারের সোনাজয়ী সাঁতারু ক্লেটে কেলার। রায়টে যুক্ত থাকার অভিযোগে কলোরাডো থেকে তাঁকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। তিনি ট্রাম্পের সমর্থক ছিলেন বরাবরই। তবে উগ্র সমর্থকদের ভিড়ে তিনিও যে মিশে যাবেন, ভাবতেই পারছে না মার্কিন জনতা। যে মানুষ পোডিয়ামে উঠে সোনা নিয়ে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন, তিনি কীভাবে হামলা চালাতে পারেন ভেবে পাচ্ছেন না কেলারের গুণমুগ্ধরা। ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলা চালানোর ভিডিও সামনে আসতেই কেলারের কীর্তি সামনে আসে। সঙ্গে সঙ্গে তা পুলিসকে জানান তাঁর সতীর্থরা। অনেকেই তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবি করে। অন্যরা তাঁর অলিম্পিক মেডেল কেড়ে নেওয়ার দাবি জানায়।