জেনিভা: টিকাকরণ কর্মসূচির ‘বৈষম্য’ নিয়ে সরব হলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রধান টেডরস আধানম। তাঁর বক্তব্য, ধনী দেশগুলিতে সুস্থ-সবল কম বয়সিরাও টিকা পেয়ে যাচ্ছেন। যদিও গবির দেশগুলির বয়স্ক মানুষ টিকা পাচ্ছেন না। বয়স্কদের আগে অল্প বয়সিদের টিকা পাওয়া সঠিক নয়।
সোমবার জেনিভায় হু-এর সপ্তাহব্যাপী এগজিকিউটিভ বোর্ড মিটিয়ের সূচনা করেন টেডরস। ভার্চুয়াল এই বৈঠকেই টিকা বৈষম্যের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। টেনে আনেন উদাহরণও। হু-প্রধানের বক্তব্য, কম উপার্জনের একটি দেশে টিকার মাত্র ২৫টি ডোজ পাঠানো হয়েছে। ২ কোটি ৫০ লক্ষ নয়, ২৫ হাজারও নয়— মাত্র ২৫টি ডোজ গিয়েছে সেখানে। অথচ প্রায় ৫০টি ধনী দেশের ৩ কোটি ৯০ লক্ষের বেশি মানুষ ইতিমধ্যেই টিকা পেয়েছেন। আমরা প্রত্যেকেই ভ্যাকসিনের প্রতীক্ষায় ছিলাম। কিন্তু ভ্যাকসিন আসার পর নতুন বিপদের মুখে আমরা। বিত্তশালী ও দরিদ্র বিশ্বের মধ্যে বৈষম্যের প্রাচীর তৈরি হয়েছে। হু প্রধানের বক্তব্য, ধনী দেশে মুনাফা বেশি। তাই টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি ধনী দেশগুলিতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের ছাড়পাত্র পাওয়াকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। যদিও টিকার ট্রায়াল সংক্রান্ত তথ্য হু-এর কাছে পেশ করচে না। যদিও ওইসব তথ্যের ভিত্তিতে টিকায় ছাড়পত্র দিয়ে অনেক বেশি দেশে ভ্যাকসিনের ডোজ পৌঁছে দিতে পারে হু।
হু প্রধানের এই মন্তব্যের মধ্যে টিকাকরণের ক্ষেত্রকে আরও সম্প্রসারিত করল ব্রিটেন। স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সামনের সারির কোভিড যোদ্ধা ও ৮০ বছরের বেশি বয়সিদের দিয়ে ব্রিটেনে টিকা কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। এবার ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সিদেরও টিকা দেওয়া শুরু হচ্ছে। টিকা পাবেন গুরুতর কোমর্বিডিটি থাকা মানুষও। অর্থাৎ দ্বিতীয় পর্যায়ে এবার আরও বেশি মানুষ টিকাকরণের আওতায় চলে আসবেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এদিন বলেন, টিকাকরণ কর্মসূচি উল্লেখযোগ্য একটি মাইলফলক স্পর্শ করেছে।