বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সন্ত্রাসে আর্থিক মদত বন্ধ করতে না পারায় ২০১৮ সালের জুনে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করেছিল আন্তর্জাতিক সংগঠন এফএটিএফ। সেই সঙ্গেই ইসলামাবাদকে নির্দেশ দিয়েছিল, ২০১৯ সালের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে না হবে। নাহলে পাকিস্তানের নাম কালো তালিকায় তোলা হবে। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির কারণে সেই সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। কাজেই কালো তালিকায় নাম ওঠার খাঁড়া এখনও ঝুলছে পাকিস্তানের মাথার উপর। সেই কারণেই ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ। লোকদেখানো কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে হাফিজ সইদ, লাকভির মতো মুম্বই হামলার চক্রীদের। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে আর এক কুখ্যাত জঙ্গি মাসুদ আজহারের নামেও।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের ওয়ান্টেড জঙ্গির তালিকায় নাম রয়েছে ৬১ বছরের লাকভির। কিন্তু মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত লাকভি জামিন পেয়ে ২০১৫ সাল থেকে পাকিস্তানে বিনা বাধায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। যা নিয়ে পাকিস্তানের উপর তৈরি হয়েছিল প্রবল আন্তর্জাতিক চাপ। এই অবস্থায় সন্ত্রাসে আর্থিক মদতের অন্য একটি মামলায় গত শনিবার লাকভিকে গ্রেপ্তার করে সন্ত্রাস দমন দপ্তর (সিডিসি)। মঙ্গলবার এই লস্কর জঙ্গিকে জেরা করেছিলেন পাঞ্জাব প্রদেশের সন্ত্রাস দমন শাখার অফিসাররা। সরকারি সূত্রে খবর, সেই মামলায় এবার আদালত ১৫ বছরের সাজা শোনাল লাকভিকে। সিডিসির তরফে বলা হয়েছে, একটি ডিসপেনসারিকে সামনে রেখে অর্থ সংগ্রহ করছিল লাকভি। সন্ত্রাসে মদতের কাজে সেই অর্থ ব্যবহার করছিল। পাশাপাশি ব্যক্তিগত প্রয়োজনেও সেই টাকা খরচ করছিল সে।