পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পিএনবি আর্থিক প্রতারণায় অভিযুক্ত নীরবের ভারতে প্রত্যর্পণ নিয়ে লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্টে দু’দিনের শুনানি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিচারক স্যামুয়েল গুজির এজলাসে শুনানির শুরুতে নীরব মোদির আইনজীবী ক্লেয়ার মন্টগোমেরি প্রত্যর্পণ ঠেকাতে একাধিক বিষয় তুলে ধরেন। জানান, তাঁর মক্কেল অসুস্থ। নীরব মোদিকে দেখভাল করার জন্য চিকিত্সক দরকার। কিন্তু ভারতে সেই সুবিধা নেই। নীরব শারীরিকভাবে কতটা অসুস্থ, তার প্রমাণ দিতে ক্লারা চিকিত্সক ফরেস্টারের রিপোর্টের কথা উল্লেখ করেন। গত অক্টোবর মাসে অভিযুক্তের শারীরিক পরীক্ষা করেছিলেন তিনি। রিপোর্টে ফরেস্টার জানিয়েছিলেন, নীরবকে বদ্ধ কুঠুরির মধ্যে রাখলে তাঁর আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দিতে পারে। সেই তথ্য উল্লেখ করে ক্লেয়ার শুনানিতে বলেন, মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলের অবস্থা ভালো নয়। সেলগুলিও নোংরা। ইদুঁর দৌড়াদৌড়ি করে। এছাড়া সেখান থেকে খোলামেলা জায়গায় বেরনোরও কোনও অবকাশ নেই। চিকিত্সক ফরেস্টারের কথা অনুযায়ী, এই ধরনের পরিবেশে থাকলে নীরবের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে। সেই সঙ্গে, নীরব আর্থিক অপরাধে অভিযুক্ত এবং পলাতক। তাই বেসরকারি কোনও সুবিধা তিনি পাবেন না। আরও জানান, ভারতে নীরব বা পরিবারের কোনও সম্পত্তি নেই। তাই বেসরকারিভাবে টাকা দিয়ে তাঁর পক্ষে চিকিত্সক দেখানো সম্ভব নয়। পাশাপাশি, ভারতের বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন নীরবের আইনজীবী।
ভারতের তরফে আদালতে পাল্টা সওয়াল করেন হেলেন ম্যালকম। শুনানিতে নীরবের আইনজীবীর প্রতিটি বক্তব্যের পাল্টা জবাব দেন তিনি। হেলেন বলেন, ওয়ান্ডসওয়ার্থ জেলেও নীরব আলাদা করে কোনও চিকিত্সা পাননি। তাছাড়া, মানসিক অসুস্থতার কথা বললেও তিনি শুনানিতে হাজির হচ্ছেন। সবকিছু ভালোভাবেই চলছে। তাই ভারতে তাঁর আলাদাভাবে কোনও চিকিত্সার দরকার নেই। নীরবের আর্থিক সমস্যার যুক্তিও মানতে চাননি হেলেন ম্যালকম। পাল্টা বলেন, জামিন পেতে অভিযুক্ত ২০ লক্ষ পাউন্ড জমা রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন। সুতরাং, ভারতের চিকিত্সার দরকার পরলে, তা করানোর জন্য পর্যাপ্ত অর্থ তাঁর রয়েছে। ভারতে ফিরলে নীরবের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হবে না। তাই তিনি অনায়াসে সেই অর্থ থেকে চিকিত্সার ব্যবগার বহন করতে পারবেন। এরপরও আদালত আরও তথ্য চাইলে, তা বিস্তারিতভাবে দিতে প্রস্তুত রয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন ভারতের পক্ষে দাঁড়ানো আইনজীবী। একইসঙ্গে, ভারতের বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা সম্পর্কে ক্লেয়ার যে প্রশ্ন তুলেছেন, তাও উড়িয়ে দিয়েছেন ম্যালকম।