রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এরপরই প্রবল সমালোচনা ও চাপের মুখে অবশেষে পিছু হটেন ট্রাম্প। প্রতিশ্রুতি দেন, নির্ঝঞ্ঝাটেই হবে ক্ষমতা হস্তান্তর। তবে ভোটে জালিয়াতির দাবিতে তিনি অনড়। তাঁর কথায়, ‘নির্বাচনের ফলকে সম্পূর্ণভাবে খারিজ করছি আমি। তবে আগামী ২০ জানুয়ারি সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবেই ক্ষমতার হস্তান্তর হবে।’
কংগ্রেসের অনুমোদন মেলায় আগামী ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন বাইডেন-হ্যারিস। কোভিড পরিস্থিতিতে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠান হবে। ক্যাপিটল হিলে নজিরবিহীন হিংসার তীব্র নিন্দা করেছেন বাইডেন। বলেছেন, এটা মার্কিন গণতন্ত্রের উপর অভূতপূর্ব হামলা। ভাবী প্রেসিডেন্টের অঙ্গীকার, তীব্র মেরুকরণে বিভক্ত দেশকে আগামী চার বছরে একত্রিত করার কাজ চালাবে তাঁর প্রশাসন। ঘটনায় সুর চড়িয়েছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও। তাঁর কথায়, এটা আমেরিকার চরম অপমান ও লজ্জা।
পপুলার ও ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের নিরিখে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট বাইডেন। যদিও এই ফল মানতে রাজি হননি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। বুধবারের যৌথ অধিবেশনের আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে ভোটের ফল খারিজ করতে বলেছিলেন ট্রাম্প। তাতে রাজি না হওয়ায় অতি ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত পেন্সের বিরুদ্ধেও সরব হন তিনি। এরপরই সমর্থকদের জমায়েতকে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ডাক দেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। এই উস্কানিমূলক ভাষণেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মার্কিন আইনসভা।
অ্যারিজোনা ও পেনসিলভেনিয়া নিয়েছিল ট্রাম্পের মূল আপত্তি। কিন্তু সেনেটে ৯৩-৬ এবং হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ৩০৩-১২১ ভোটে অ্যারিজোনার ফলে সেই আপত্তি খারিজ হয়ে যায়। পেনসিলভেনিয়া নিয়ে ৯২-৭ এবং হাউসে ২৮২-১৩৮ ভোটে হেরে যায় ট্রাম্প শিবির। বিপক্ষে ভোট দেন চার ইন্দো-মার্কিন আইনপ্রণেতাও। ‘বস’ ট্রাম্পকে নিয়ে পেন্স বলেন, ‘হিংসা কখনও জয়ী হতে পারে না। জয় হয় স্বাধীনতার।’