বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
বিশ্বের মধ্যে আর এক ‘বিশ্ব’ এখন স্মার্টফোন। আক্ষরিক অর্থে ‘নেট দুনিয়া’। হাতের মুঠোয় গোটা ব্রহ্মাণ্ড। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ট্যুইটারে দূর হচ্ছে নিকট। অবসর যাপনে সবকিছুই এখন ভার্চুয়াল। ঘরবন্দি থেকে আমেরিকার ২৯ বছরের যুবক ক্যালেব বারকজিকও চেয়েছিলেন প্রাক্তন বসের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে। পাঠিয়েছিলেন ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট। অ্যাকসেপ্ট করেননি বস। তাতেই চটে লাল ক্যালেব। সটান বসের বাড়ি চলে গিয়ে দরজায় লাথি, খুনে হুমকি। তাঁর এহেন কাণ্ডকারখানায় তাজ্জব অফিসের প্রাক্তন ঊর্ধ্বতন কর্তা। শেষমেষ তিনি দ্বারস্থ হন পুলিসে। বিশৃঙ্খল আচরণের অভিযোগে ক্যালেবকে গ্রেপ্তার করে তারা। তাঁর ঠাঁই এখন জেলে। ঘটনাটি নর্থ ডাকোটার উইলিস্টন শহরের।
পুলিস সূত্রে খবর, এক সময় ওই প্রাক্তন বসের সঙ্গে একই অফিসে কাজ করতেন ক্যালেব। অবসর জীবন কাটাতে বসকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রস্তাব পাঠানোর দু’দিন পরও তা অ্যাকসেপ্ট করেননি ওই ব্যক্তি। এতেই মাথায় রাগ চেপে যায় ক্যালেবের। রীতিমতো হুমকি দিয়ে তাঁকে মেসেজ করেন ওই যুবক—ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করুন। নতুবা খুন করব। শুধু হুমকিতেই থেমে থাকেননি তিনি। প্রতিশোধ তুলতে সটান চলে গিয়েছিলেন বসের বাড়িতে। তাঁর দরজায় একের পর এক লাথি মেরে উগরে দিয়েছেন বন্ধুত্বের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার ক্ষোভ। এখানেই শেষ নয়, সেই ছবি পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়াতেই ক্যালেব লেখেন, ‘আমার প্রাক্তন বসের বাড়িতে একটি নতুন দরজার দরকার হবে বলে মনে হচ্ছে!’ সিসিটিভির ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এই কাণ্ড। যার ভিত্তিতে ক্যালেবকে গ্রেপ্তারও করে পুলিস। তবে, শুধুমাত্র বন্ধুত্ব পাতাতে চেয়ে তাঁকে জেল খাটতে হবে, তা মেনে নিতে পারছেন না নেটিজেনদের অনেকেই। তাঁদের কেউ কেউ বলছেন—অধস্তনের প্রতি একটু সহিষ্ণু হতেই পারতেন প্রাক্তন বস!