বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত সপ্তাহে ইতালির পম্পেইতে মাটি খুঁড়ে এমনই হাতে গরম প্রমাণ পেয়েছেন গবেষকরা। হদিশ মিলেছে আস্ত একটি ফাস্ট ফুড স্টলের। শুধু তাই নয়, অবাক করে দেওয়ার মতো ডিজাইন, সচিত্র মেনুকার্ডও মিলেছে সেই স্টল থেকে। যা দেখে চক্ষুচড়কগাছ গবেষকদের।
সেটা ৭৯ খ্রিস্টাব্দের কথা। অগ্ন্যুত্পাতের ফলে শ্মশানে পরিণত হয়েছিল জমজমাট শহর পম্পেই। প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। ছাইয়ে ঢাকা পড়ে গিয়েছিল গোট শহর। ধীরে ধীরে ছাই সরাতেই উঠে আসছে একের পর এক অবাক করা ঐতিহাসিক নিদর্শন। পম্পেইয়ের আর্কিওলজিক্যাল পার্কের ডিরেক্টর জেনারেল ম্যাসিমো ওসান্না জানিয়েছেন, শহরের ওয়েডিং স্ট্রিট ও অ্যালে অব ব্যালকোনিজের নামের দুই জায়গার মধ্যেই ছিল দোকানটি। অগ্ন্যুত্পাতের সময় তড়িঘড়ি সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সেই সময় এই ধরনের দোকানকে বলা হতো থার্মোপোলিয়াম। দু’টি গ্রিক শব্দ থার্মোস এবং পলিও-র মেলবন্ধনে তৈরি এই শব্দটি । থার্মোস কথার অর্থ গরম। পলিও’র অর্থ বিক্রি। অর্থাত্, যেখান থেকে গরম গরম খাবার বিক্রি করা হয়, তাকেই থার্মোপোলিয়াম বলা হয়। পম্পেইতেই প্রায় ৮০টি এরকম দোকান ছিল। কী পাওয়া গিয়েছে, পম্পেইয়ের থার্মোপোলিয়ামে? প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানিয়েছেন, ওই দোকানে হাঁস, শুয়োর, ছাগলের হাড়ের টুকরো মিলেছে। সেগুলি খাদ্যতালিকার মধ্যেই ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া, মাটির পাত্রে ছিল মাছ এবং শামুকও। এগুলির মধ্যে বেশ কিছু রোমান খাবার ‘পেইল্লা’ও রান্না করা হতো। ওই দোকানের একটি জারের তলা থেকে গুঁড়ো করা মটরশুঁটিও মিলেছে। গবেষকদের মতে, ওয়াইনের স্বাদ বাড়াতেই এগুলো ব্যবহার করা হতো।
এখানেই শেষ নয়, ফাস্ট ফুডের স্টলের সামনে একটি ওয়াটার টাওয়ার এবং ঝর্ণাও ছিল। তার পাশেই পড়ে ছিল মাঝবয়সি এক ব্যক্তির দেহাবশেষ। ছাই সরানোর পর একটি বাচ্চার বিছানার পাশ থেকে সেটি পাওয়া যায়। ওসান্না জানিয়েছেন, প্রথম দফার অগ্ন্যুত্পাতের সময় ওই ব্যক্তি সম্ভবত সেখান থেকে পালাতে পারেননি। তিনি আরও বলেন, খননকার্য শুরু হওয়ার পর থেকে বাড়িঘর, দেহাবশেষ সহ নগর জীবনের একাধিক নমুনা পেয়েছি। এই প্রথম থার্মোপোলিয়াম বা ফাস্ট ফুডের দোকানের সন্ধান পেলাম।