কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
লেসলির বয়স ৭৫, প্যাট্রিসিয়ার ৭৮। মিশিগানের বাসিন্দা। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তাঁরা। সম্প্রতি মৃত্যু হয় তাঁদের। এবং আশ্চর্যজনকভাবে একই সময়ে! প্রেম-ভালোবাসা থেকে মৃত্যুতে যেন অটুট বন্ধনের শপথ। দু’জনের সেই মৃত্যু-মুহূর্ত দেখার ঘোর আর কিছুতেই কাটিয়ে উঠতে পারছেন না হাসপাতালের কর্মীরা। তাঁদের কথায়, ‘ভাবলেই শিউরে উঠছি! একই সময়ে দু’জনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা সত্যিই বিরল।’ দম্পতির পরিবার সূত্রে খবর, প্যাট্রিসিয়া মিশিগানের জ্যাকশনের একটি হাসপাতালে নার্সের কাজ করতেন। দীর্ঘ ৩৫ বছর ছিলেন এই পেশায়। ইউনাইটেড স্টেটস নেভি রিজার্ভ থেকে অবসরের পর ট্রাক চালাতেন লেসলি। দাম্পত্য জীবন শুরু ১৯৭৩ সালের ১৬ এপ্রিল। দুই মেয়ে, নাতি-নাতনিদের নিয়ে তাঁদের ভরা সংসার। এমনিতে ‘লাভবার্ড’ হলেও আচরণে দুই মেরুতে অবস্থান দু’জনের। প্যাট্রিসিয়া গুরুগম্ভীর। লেসলি ফুরফুরে মেজাজের। মেয়ে জোয়ানা বলেন, ‘সব সময় একসঙ্গে থাকতেন বাবা-মা। পুল পার্টিতে মেতে উঠতেন তাঁরা। পারিবারিক আনন্দ-অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন । মাঝে মধ্যেই চলে যেতেন সেই পানশালায়। যোখানে তাঁদের প্রথম দেখা, ভালোলাগা, ভালোবাসা। গানের তালে পাও মেলাতেন বাবা-মা।’ খবরটা পেয়ে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন জোয়ানা। বলছিলেন, ‘ভালোবাসার বাঁধন এমনও হতে পারে! পরে ভেবে দেখলাম, অবাক হওয়ার কিছু নেই। তাঁরা তো আজীবন একসঙ্গেই থাকতে চেয়েছিলেন! এই ঘটনা নিছক ট্র্যাজিক নয়, সুন্দরও।’ ঠিক যেন রোমিও-জুলিয়েট! একে অপরকে ছেড়ে থাকার কথা তাঁরা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। মৃত্যুও তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটাতে পারেনি।