বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিকে বাইডেন মঙ্গলবার স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় ক্ষমতার আস্ফালন নয়, নৈতিকতাকেও সমান গুরুত্ব দেবে আমেরিকা। তাঁর শাসনকালে আমেরিকা যে ট্রাম্পের আমলের থেকে সব অর্থেই ভিন্ন হবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বাইডেন। ইতিমধ্যে ঘর গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন। বেছে নিয়েছেন বিদেশ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পরিবেশ সচিব, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, গোয়েন্দা প্রধান এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত। মঙ্গলবার তাঁদের সশরীরে সাংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির করেন বাইডেন। তাঁদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘এঁরাই আমেরিকার হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনবেন। বিশ্বকে নৈতিক নেতৃত্ব দেবেন এঁরাই।’
আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করবেন বাইডেন। তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছেন তিনি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর বেছে নেওয়া ব্যক্তিরা যে আমেরিকাকে বিশ্বের দরবারে আবার তুলে ধরবে, সেই নিয়ে বাইডেন আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন, ‘আমার বেছে নেওয়াটাই প্রমাণ করে, আমেরিকা আবার শ্রেষ্ঠত্বের পথে ফিরছে। বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত। আমেরিকা কখনও ফিরে তাকাবে না।’ নির্বাচনী প্রচারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্লোগান ছিল ‘আমেরিকা ফার্স্ট’। ট্রাম্পকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সবকিছু বদলে দিয়েছেন। প্রথম স্থানে নিয়ে যাব বলে আমেরিকাকে নিঃসঙ্গ করে দিয়েছেন তিনি।’
তবে ক্ষমতায় ফিরে করোনা মোকাবিলাকেই যে তিনি অগ্রাধিকার দেবেন, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বাইডেন। প্রথম ১০০ দিনের কাজের অগ্রাধিকার দেখেই প্রশাসন সম্পর্কে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা যায়। এদিন বাইডেন বলেন, প্রথম ১০০ দিনে করোনা মোকাবিলার উপর জোর দেবে তাঁর প্রশাসন। তাঁর কথায়, ‘হোয়াইট হাউসের করোনা মোকাবিলায় নিয়োজিত টিমের সঙ্গে আমি বৈঠক সেরেছি। ফলাফল ইতিবাচক।’ এদিকে, হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তা মিখাইল ফিনকে ট্রাম্প ক্ষমা করতে পারেন বলে খবর। ফিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মিথ্যা কথা বলে এফবিআইকে ভুল পথে চালিত করেছিলেন তিনি।
উইলমিংটনে জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিস। ছবি: পিটিআই