পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দীপাবলি পালন উৎসবে যোগ দিয়ে কীভাবে তিনি রাজনীতিতে এসেছেন, সে সম্পর্কে খোলাখুলি আলোচনা করেন সুনাক। ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাবা-মা এবং শ্বশুর-শাশুড়ির পদাঙ্ক অনুসরণ করে সমাজের জন্য কিছু করতেই তাঁর রাজনীতিতে আসা বলে জানিয়েছেন তিনি। সুনাকের কথায়, ‘আমার বাবা জেনারেল প্রাক্টিশনার (জিপি) ছিলেন। আর মা ফার্মাসিস্ট। মার ডিসপেন্সারি অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে আমি মায়ের ওষুধের দোকানে কাজ করতাম। ৩০ বছর ধরে আমার বাবা-মা দেশবাসী উপকৃত হন এমন কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আর আমিও তাই করতে চাই। কিন্তু তা নিজের মতো করে, একজন এমপি হিসেবে। আর আমার শ্বশুরমশাই শূন্য থেকে বিশ্বসেরা ব্যবসা তৈরি করেছেন এবং ভারতকে তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে দিয়েছেন। আমার শাশুড়ি লক্ষ লক্ষ ভারতবাসীর জীবন বদলে দিয়েছেন। আর এটাই আমাকে রাজনীতিতে আসতে অনুপ্রাণিত করেছে।’ প্রসঙ্গত, ভারতের অন্যতম ধনকুবের তথা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের সহপ্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি ও সমাজকর্মী সুধা মূর্তির মেয়ে অক্ষতা মূর্তিকে বিয়ে করেছেন সুনাক।
দেশের আইন অনুযায়ী বিশ্বের উন্নয়নে একটা বড় অর্থ ব্যয় করে ব্রিটেন। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতিতে সেই অনুদান কাট-ছাঁট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও সুনাক। এই মর্মে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁরা বৈঠকে বসেছিলেন। কেননা গত মে মাস থেকে মঙ্গলবারই ব্রিটেনে সবথেকে বেশি করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সম্ভাব্য ভ্যাকসিনকে ‘অন্ধকারে আলোর দিশা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন সুনাক। তবে তাঁর মতে, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনই হবে তুরুপের তাস। খুব শীঘ্রই তা আসছে জানিয়ে সুনাক বলেছেন, ‘এই ভ্যাকসিনের এগিয়ে থাকার অন্যতম কারণ হল, এটি অন্যদের তুলনায় সস্তা। এটা রাখার জন্য কোল্ড স্টোরেজের প্রয়োজন হবে না। এই ভ্যাকসিনের একটি ডোজই যথেষ্ট। যেখানে বাকি দু’টো ভ্যাকসিনের (মর্ডানা ও ফাইজার) দু’টো করে ডোজ লাগছে।’
শুধু ভ্যাকসিন নয়, দীপাবলির উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে ব্রেক্সিট পরবর্তী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে এক নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সুনাক। গত শনিবার কীভাবে তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে আলোর উৎসব পালন করেছেন, সেকথাও তুলে ধরেন ব্রিটেনের চ্যান্সেলার অব এক্সচেকার।
অন্যদিকে, গত শুক্রবার ধুমধাম ও আড়ম্বরের সঙ্গে দীপাবলি পালন করেছে লেবার ফ্রেন্ডস অব ইন্ডিয়া। সেখানে লেবার পার্টির নেতা স্যার কিয়ের স্টার্মার বলেন, দীপাবলির এই উৎসব হল খারাপের বিরুদ্ধে ভালো, অজ্ঞানের বিরুদ্ধে জ্ঞান এবং অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলোর জয়।’ লন্ডনের ডেপুটি মেয়র তথা লেবার ফ্রেন্ডস অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান রাজেশ আগরওয়াল বলেছেন, ‘দীপাবলি পালনের পাশাপাশি আমরা স্থানীয় প্রশাসনের একটা নেটওয়ার্কের সূচনা করেছি, যেখানে সমস্ত লেবার কাউন্সিলারকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি।’ ভারতীয় হাইকমিশনের মন্ত্রী শ্রী বিশ্বেস নেগিও এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।