লন্ডন: করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসায় আইসোলেশনে গেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। গত বৃহস্পতিবার ১০, ডাউনিং স্ট্রিট কার্যালয়ে এমপিদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। এর পরই জানা যায়, ওই বৈঠকে উপস্থিত লি আন্ডারসন নামে এক এমপি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আন্ডারসনের স্ত্রীর করোনা রিপোর্টও পজিটিভ আসে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসকদের পরামর্শে রবিবার থেকে আইসোলেশনে চলে গিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। অন্তত দশদিন তাঁকে আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে। এর আগে গত এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হন জনসন। সেসময় তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়। ফের তিনি আইসোলেশনে যাওয়ায় জোর জল্পনা ছড়িয়েছে। যদিও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসার কারণেই নিয়ম মেনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে। বরিস জনসনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী পুরোপুরি সুস্থ আছেন। তাঁর মধ্যে করোনার কোনওরকম উপসর্গ নেই। ডাউনিং স্ট্রিট থেকেই প্রধানমন্ত্রী সরকারি কাজ পরিচালনা করবেন। এরই মধ্যে ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক জানিয়েছেন, করোনা রোধে আমরা দ্রুততার সঙ্গে টিকা দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবুও ২০২১ সালের আগে সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবে না।
এদিকে, আমেরিকায় ১ কোটি ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত। এর মধ্যে শেষ ১০ লক্ষ আক্রান্ত হয়েছে এক সপ্তাহেরও কম সময়ে। যা ভাবিয়ে তুলেছে মার্কিন প্রশাসনকে। এই পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটন ও মিশিগান প্রদেশে করোনা নিয়ে নতুন করে আরোপ করা হয়েছে বিধিনিষেধ। মিশিগান প্রশাসনের তরফে স্কুল-কলেজে কাউকে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বার ও রেস্তরাঁয় বসে খাওয়া-দাওয়া ও খোলাধুলোর আয়োজন করা যাবে না বলেও নির্দেশ জারি হয়েছে। একইসঙ্গে ওয়াশিংটন প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিতে জমায়েতের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আগামী একমাস এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে। ওয়াশিংটনেও জিম ও বিনোদন কেন্দ্রগুলিতে পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
করোনা নিয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে জনসন। -পিটিআই