কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
‘আ প্রমিসড ল্যান্ড’ নামে একটি বই লিখেছেন ওবামা। সেখানে হোয়াইট হাউস ছেড়ে আসা থেকে চার বছরের স্মৃতিচারণা করেছেন তিনি। আগামী মঙ্গলবার সেই বইটি বিক্রি হবে। তার আগে বইটির বেশ কিছু অংশ নিউ ইয়র্ক টাইমস, দ্য আটলান্টিক ম্যাগাজিনে প্রকাশ পেয়েছে। যে সমস্ত রাষ্ট্রনেতা বা বিদেশি নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে ওবামার সাক্ষাৎ হয়েছিল, ওই বইয়ে তাঁদের মূল্যায়ন করেছেন তিনি। সে প্রসঙ্গে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং রাহুল গান্ধীর কথা উঠে এসেছে। এমনকী, বর্তমান ‘প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট’ জো বাইডেনের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। সেই প্রেক্ষিতেই রাহুল সম্পর্কে নিজের ধারণার কথা ব্যক্ত করেছেন ওবামা।
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘রাহুল গান্ধী অত্যন্ত নার্ভাস। মূল বিষয়ে (রাজনীতি) তাঁর কোনও প্যাশন নেই।’ এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। ওবামা আরও লিখেছেন, ‘কিছু ছাত্র থাকে, যারা সমস্ত কাজ শেষ করে উল্টোদিকে থাকা শিক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়। কিন্তু, পারদর্শিতা বা প্যাশনের অভাবে তা পারেন না। রাহুল গান্ধীও খানিকটা তেমন।’ তবে, অর্থনীতিবিদ মনমোহনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। যদিও আশ্চর্যজনকভাবে দু’বার ভারতের ক্ষমতা দখল করলেও ‘বন্ধু বারাকে’র বইয়ে স্থান পাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে সস্ত্রীক ভারতে এসেছিলেন ওবামা। তখন তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন রাহুল। সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে জানিয়ে ট্যুইটও করেছিলেন তিনি।
অন্যদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন সম্পর্কে ওবামা বলেছেন, উনি ‘স্ট্রিট স্মার্ট’। তাঁর কথায়, পুতিনকে দেখলে আমার শিকাগো শহরের স্ট্রিট স্মার্টদের কথা মনে পড়ে যায়। আমেরিকার রাস্তায় এক ধরনের যুবকদের দেখা যায়, যাঁরা পোশাক-আশাক, হাবেভাবে অত্যন্ত স্মার্ট। দেখে মনে হয় অনেক কিছু করে দেখাবেন। কিন্তু, কিছুই করে উঠতে পারেন না। পুতিনকে ‘কড়া বস’ উল্লেখ করে তাঁর শারীরিক সক্ষমতার প্রশংসা করেছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর তাঁর প্রাক্তন সহকর্মী বাইডেন সম্পর্কে ওবামার অভিমত, ‘উনি অত্যন্ত নম্র, ভদ্র ও সৎ মানুষ।’
তবে, আমেরিকায় বৈষম্য ও বিভাজন প্রকট হয়েছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ওবামা। তাঁর মতে, সেই বিভাজনের মূল অনেক গভীর চলে গিয়েছে। আর তা মেটাতে দেশের কুর্সি থেকে ট্রাম্পের চলে যাওয়া যথেষ্ট নয়। পাশাপাশি, প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং তাঁর রানিং মেট কমলা হ্যারিসের জয়ের প্রশংসা করেছেন ওবামা। তাঁর কথায়, ‘যেটা ঠিক তা করার সক্ষমতা ও চারিত্রিক গুণাবলি ওদের রয়েছে।’ তবে তাঁর মতে, ‘একটা রাজনৈতিক পালাবদল (বিভাজন) সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। আমাদের দেশে সেই বিভাজনের মূল অনেক গভীরে চলে গিয়েছে।’