ওয়াশিংটন: প্রতিদিনই বিশ্বে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। প্রাপ্তবয়স্করা যেমন আক্রান্ত হচ্ছেন, তেমনি শিশু-কিশোরাও। এমতাবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের উপর তাদের সম্ভাব্য কোভিড ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পরিকল্পনা করল মার্কিন সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন। শুক্রবার ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-এর (সিডিসি) এক ভার্চুয়াল বৈঠকে একথা ঘোষণা করেছেন সংস্থার কর্তা ডাক্তার জেরি স্যাডফ। তিনি বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব সতর্কতার সঙ্গে আমরা কিশোরদের উপর এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে দেখব।’ তবে নিরাপত্তা ও অন্যান্য দিক বিচার করে পরবর্তীতে আরও কমবয়েসিদের উপরে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসনের। গত সেপ্টেম্বর থেকে প্রাপ্তবয়স্ক স্বেচ্ছাসেবকদের উপরে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করে জনসন অ্যান্ড জনসন। চলতি মাসের প্রথমে স্বাস্থ্যজনিত কারণে ট্রায়াল সাময়িক স্থগিত রাখা হয়। চলতি সপ্তাহে তা ফের চালু হয়েছে। করোনা ভ্যাকসিনের দৌড়ে পিছিয়ে নেই ভারতও। টিকা তৈরির পর শুধু দেশে নয়, বিশ্ববাসীর জন্যও সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।
অন্যদিকে, মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা মডার্না আইএনসি এবং নভোভ্যাক্সের টিকা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে গিয়েছে। তাদেরও সম্ভাব্য করোনা টিকা বাজারে আসতে চলেছে বলে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে মডার্না। এই মুহূর্তে শেষ পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালাচ্ছে মডার্না-আইএনসি। মোট ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালাচ্ছে তারা। মডার্না জানিয়েছে, জেনেশুনেই কোমর্বিডিটি রয়েছে এমন স্বেচ্ছাসেবকদের বেছে নিয়েছে তারা। কারণ কোমর্বিডিটি থাকা সত্ত্বেও যদি তাদের তৈরি প্রতিষেধক কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়, সে ক্ষেত্রে টিকা প্রয়োগের অনুমোদন জোগাড় করা আরও সহজ হবে। তাদের তৈরি প্রতিষেধক ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।