কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন সকালে হামলার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রশাসনের তরফে শহরে সন্ত্রাসবাদী হামলার সতর্কতা জারি করা হয়। মুহূর্তের মধ্যে নিরাপত্তারক্ষীরা ঘটনাস্থলে চলে আসেন। তাঁরা গির্জা চত্বর ঘিরে ফেলেন। সেইসঙ্গে শহরবাসীকে ওই এলাকা এড়িয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানায় পুলিস। পৃথক একটি ঘটনায় এক বন্দুকবাজকে গুলি করে খতম করেছে পুলিস।
এখন করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে ইউরোপে। তারমধ্যে ফ্রান্সও রয়েছে। লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ সরকার। তারইমধ্যে ঘটে গেল এই ভয়ঙ্কর ঘটনা। গত ১৭ অক্টোবর প্যারিসের অদূরে স্যামুয়েল পি নামে এক স্কুল শিক্ষকের শিরশ্ছেদ করেছিল এক চেচেন জঙ্গি। এদিনের হামলার ক্ষেত্রেও জঙ্গিরা একই পন্থা নিয়েছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। এক ফরাসি সাংবাদিকের কথায়, ‘নিস শহরের ওই গির্জায় হামলা চালানোর পরপরই নিরাপত্তারক্ষীরা চলে আসেন। তাঁরা পুরো এলাকাটি ঘিরে তল্লাশি শুরু করেন। অ্যাম্বুলেন্স ও দমকলের একাধিক গাড়িও ঘটনাস্থলে চলে আসে। নিহত ও আহতদের দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁরা রক্তাক্ত অবস্থায় গির্জার বাইরে থেকে একজনকে উদ্ধার করেন।’ এদিনের হামলার জেরে ফরাসি মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক বাতিল করা হয়। ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি ডারম্যানিন সন্ত্রাসবাদীদের খুঁজে বের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানান। তবে রাত পর্যন্ত কোনও সংগঠন ঘটনার দায় স্বীকার করে নেয়নি। অপরদিকে ফরাসি পত্রিকা ‘শার্লে এবদো’র বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে তুরস্কের সরকার। গত ২৮ অক্টোবর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের একটি ‘বিতর্কিত’ কার্টুন ছাপে পত্রিকাটি।