উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
বুধবার দশম ইকনমিক অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল ডায়ালগ (ইএফডি) উপলক্ষে মুখোমুখি হন ব্রিটেনের রাজস্ব বিভাগের চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক এবং ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। দু’দেশের আর্থিক সম্পর্ক মজবুত করার ব্যাপারে তাঁরা আলোচনা করেছেন। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী এই মহামারীর মধ্যেও দুই দেশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে। ইতিমধ্যে জি-২০ অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে লড়াই চালাবে ভারত ও ব্রিটেন।
বৈঠকের পর ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী সুনাক বলেন, ‘বর্তমানে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে গোটা বিশ্ব। আগে ভারতের সঙ্গে ব্রিটেনের আর্থিক সম্পর্ক এত গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। আজ পরিস্থিতি বদলেছে। আরও মজবুত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের লক্ষ্যে, কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগ টানতে এদিন একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মহামারী পরবর্তী সময়ে বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে আমরা একযোগে কাজ করব।’ দুই দেশ যে সমস্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে সেগুলি হল— গুজরাত ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স টেক সিটির দ্রুত উন্নয়ন, ব্রিটেনের সঙ্গে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার পাইপলাইন প্রকল্প বাস্তবায়নে পরিকাঠামো ও অর্থসংক্রান্ত যৌথ অংশীদারিত্ব, ভারত-ব্রিটেন ফিনান্স ফোরামের মাধ্যমে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি খাতে বিনিয়োগ, লাল ফিতের ফাঁসের সমস্যা ঠেকাতে দুই দেশের সংস্থাগুলির জন্য নতুন আর্থিক বাজার তৈরি। এছাড়া ভারত-ব্রিটেনের দক্ষিণ এশীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে করোনার প্রভাব জানতে ৮০ লক্ষ পাউন্ডের একটি তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দু’দেশের অর্থমন্ত্রী। সেখানে ইউকে রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন এবং ভারতের ডিপার্টমেন্ট অব বায়োটেকনোলজি যৌথভাবে বিনিয়োগ করবে।
ভারতীয় সংস্থাগুলির জন্য ব্রিটেনের বৃহৎ বাজারের কথাও এদিনের বৈঠকে তুলে ধরেন ঋষি সুনাক। বলেন, এই বাজারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতীয় কোম্পানিগুলি তহবিল সংগ্রহ করতে পারবে। লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে ভারতীয় সংস্থাগুলির নথিভুক্তকরণের পদক্ষেপকেও স্বাগত জানান তিনি। বৈঠকের ফাঁকে বার্তা দেন ইউকে-ইন্ডিয়া ইনভেস্টিং ফর গ্রোথ ফোরামে উপস্থিত শিল্পপতিদের উদ্দেশেও। ভারত ও ব্রিটেনের একযোগে কাজ করার ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় দিকগুলি তিনি তুলে ধরেন। ২০০৭ সালে দু’দেশের মধ্যে প্রথম ইএফডি পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। তারপর থেকে ভারত-ব্রিটেন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ২ হাজার ৪০০ কোটি পাউন্ডে পৌঁছেছে।