বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মার্কিন নির্বাচনে ইরান-রাশিয়া যোগ মেলায় যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ট্রাম্প প্রশাসন। বিষয়টিকে যে মোটেও হাল্কাভাবে নেওয়া হচ্ছে না, তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।কী তথ্য পেয়েছে হ্যাকাররা? মুখে কুলুপ শীর্ষ নিরাপত্তা আধিকারিকদের। খবর অবশ্য তাতে চাপা থাকেনি। ভোটাধিকার সংক্রান্ত আইনজীবী জন গ্রিনবাম বলেন, 'বহু প্রদেশে ভোটার রেজিস্ট্রেশন তালিকা কিনতে পাওয়া যায়। সেই তালিকাই হাতে পেয়েছে হ্যাকাররা।' নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ ট্যামি প্যাট্রিকের কথায়, 'এটাকে ভোটের ফোনবুক বলা যেতে পারে। এই তালিকা থেকে ভোটারদের নাম, ঠিকানা, জন্ম সাল, ইমেল আইডি, তাঁরা কোন দলে নথিভুক্ত সংক্রান্ত তথ্য পেয়েছে হ্যাকাররা।' তবে সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বরের মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস হয়নি বলেই দাবি তাঁর। হ্যাকারদের কাছে অবশ্য কোনও তথ্যই সামান্য নয়। জন র্যাটক্লিফ জানিয়েছেন, তথ্য হাতানোর পরেই ময়দানে নেমে পড়েছে তেহরান। আমেরিকার বাইরে থেকে লোকজন জাল ব্যালট দিয়ে ভোট দিতে পারে-এমন ভুয়ো ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে। নথিভুক্ত ডেমোক্র্যাটদের কাছে ইমেলগুলি পাঠানো হচ্ছে প্রাউড বয়েজ-এর নামে। যাতে মনে হয়, ট্রাম্পের পক্ষে থাকা এই চরম ডানপন্থী গোষ্ঠীই এসব ইমেল পাঠিয়েছে। এতে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে। ভোটারদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরির পাশাপাশি বিপাকে পড়বেন বিদায়ী প্রেসিডেন্টও। নিরাপত্তা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ভুয়ো প্রচারে যুক্ত ৯২টি ওয়েব ডোমেইনকে এখনও পর্যন্ত চিহ্নিত করে বন্ধ করা হয়েছে। এগুলির প্রতিটি ইরানের ইসলামিক রেভেলিউশনারি গার্ডের মদতপুষ্ট। এছাড়াও ইরানের একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর ৮৮টি ওয়েব ডোমেইনকে বন্ধ করা হয়েছে। বিদেশি সাইবার হামলা রুখতে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জন ডেমেয়ার্স। ভোটে ইরানি হস্তক্ষেপের প্রমাণ মিললেও রাশিয়া এখনও চুপ। যা আরও দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসনের। উচ্চ পদস্থ এক নিরাপত্তা আধিকারিকের কথায়, চূড়ান্ত ভোটের দিন বা তার পরেই বিভিন্ন প্রদেশের লোকাল কম্পিউটার নেটওয়ার্কে সাইবার হানা চালাতে পারে মস্কো। এফবিআই ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি আধিকারিকরা এই হামলা রুখতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান তিনি। এই প্রথম নয়। ২০১৬ সালেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিল রাশিয়া। এবারে এখনও নীরব মস্কো। জল মাপা চলছে।