পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কিন্তু কী এই বেন্নু? ওসিরিস-রেক্স’ই বা কাকে বলে? জানতে হলে পিছিয়ে যেতে হবে ১২ বছর। মঙ্গল ও বৃহস্পতি—এই দুই গ্রহের মধ্যে থাকা গ্রহাণুপুঞ্জের মধ্যে ‘বেন্নু’ নামে একটি বিশেষ গ্রহাণুর সন্ধান পায় মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তখনই তার গা থেকে কয়েক টুকরো পাথর ও ধুলোর নমুনা খুবলে আনার চিন্তাভাবনা করেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু গ্রহ, উপগ্রহ ছেড়ে হঠাৎ করে গ্রহাণু নিয়ে গবেষণার কারণ? মহাকাশ বিজ্ঞানীদের ধারণা, বেন্নু’র নমুনা বিশ্লেষণ করলে মিলতে পারে সৌরজগতের সৃষ্টিরহস্য। আর সেটা হাতে এলে অনেকটাই স্পষ্ট হতে পারে ব্রহ্মাণ্ড নিয়ে যাবতীয় কৌতূহল। নাসার বিজ্ঞানী মাইকেল থ্যালারের কথায়, ‘কয়েকশো কোটি বছর আগে পৃথিবীর অবস্থা কেমন ছিল, তারও একটা আন্দাজ মিলতে চলেছে।’ যদিও এসবের জন্য অন্তত তিন বছর অপেক্ষা। কারণ সবকিছু ঠিকঠাক চললে আগামী ২০২৩ সালে পৃথিবীতে ফিরে আসবে ওসিরিস। কীভাবে সম্পন্ন হল গোটা প্রক্রিয়া? নাসা জানিয়েছে, একাধিক ধাপে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে নমুনা সংগ্রহ চলানো হয়। সতর্কতার কারণ বেন্নুর ভৌগোলিক গড়ন। গ্রহাণুটির উপরিভাগ এতটাই এবড়োখেবড়ো যে, অবতরণের সামান্য ভুলচুক হলেই চরম বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। হাতে সময় মাত্র ১৬ সেকেন্ড। তার মধ্যেই কাজ হাসিল করতে হবে! তাই সংগ্রহের জন্য প্রথমেই উপযুক্ত স্থান বেছে নেওয়া হয়। নাসার মহাকাশযান এক্ষেত্রে বেন্নুর উত্তর গোলার্ধের একটি অংশ নির্বাচন করে। নাম ‘নাইটিঙ্গেল’। ব্যাসার্ধ প্রায় ৪৯০ মিটার। এরপর টার্গেট জোন নির্দিষ্ট করে প্রেশারাইজড নাইট্রোজেন ছুঁড়ে দেওয়া হয়। যার ফলে শক্তপোক্ত পাথুরে জমি কিছুটা ঝুরঝুরে হয়ে পড়ে।