গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গোটা বিশ্বে ইন্টারনেট সার্চের ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে গুগল। মার্কিন বাজারে তাদের আধিপত্য আরও জোরালো। এখানে প্রায় ৯৫ শতাংশই নিজেদের হাতে রেখেছে সংস্থাটি। কিন্তু এই তথ্য পুরো ছবি তুলে ধরে না বলেই দাবি অ্যাটর্নি জেনারেল বিল বারের। তিনি জানান, আমেরিকার সংস্থা গুগলের এহেন আচরণে ‘অত্যন্ত ব্যথিত’। তাঁরা এই পরিবেশ থেকে মুক্তি চাইছেন। অভিযোগপত্রেও বলা হয়, গুগলের একাধিপত্যের জেরে গ্রাহক এবং বিজ্ঞাপনদাতাদের পছন্দ কুক্ষিগত হয়ে পড়েছে। ফলে বৈচিত্র্য ও নতুনত্ব ফেরাতে হলে তাদের একচেটিয়া অধিকার ভেঙে ফেলা জরুরি। যদিও যাবতীয় বিতর্ককে কার্যত নস্যাৎ করে দিয়েছে গুগল। তাদের সাফ দাবি, গোটা মামলাটি অত্যন্ত ‘ত্রুটিপূর্ণ’। ইন্টারনেটের বাজারে এখনও সুস্থ প্রতিযোগিতা রয়েছে। গ্রাহকদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। তাঁরা নিজেদের পছন্দে গুগলকে বেছে নেন। এখানে বাধ্য করার কোনও প্রশ্নই নেই।
বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে প্রযুক্তি সংস্থার বিরুদ্ধে আমেরিকার মামলা দায়ের এই প্রথম নয়। এর আগে ১৯৭৪ সালে ‘এটিঅ্যান্ডটি’ নামক একটি সংস্থা মার্কিন প্রশাসনের রোষানলে পড়ে। ১৯৯৮ সালে মাইক্রোসফ্টের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু এবার পরিস্থিতি আলাদা। তার কারণ, বেশ কিছুদিন ধরেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অনলাইনে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলছিলেন। ফলে নির্বাচনী আবহে গুগলের বিরুদ্ধে খোদ সরকারের খড়্গহস্ত হয়ে ওঠাকে ভোটযুদ্ধের রণকৌশল হিসেবে দেখতে চাইছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।