বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শুরুতে অবশ্য করোনা ভাইরাস নিয়ে অনিকা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেনি। ঋতু পরিবর্তনের সময় মানুষের যে জ্বর হয়, তা নিয়েই গবেষণা শুরু করেছিল এইট গ্রেডের ছাত্রীটি। কিন্তু, বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর দাপট বাড়তেই তার পরিকল্পনা বদলে যায়। সার্স-কোভ-টু ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে কীভাবে নিষ্ক্রিয় করা যায়, তা নিয়েই চর্চা শুরু করে দেয় অনিকা। আর এর জন্য সে বেছে নেয় ইন-সিলিকো পদ্ধতি। তবে, তার আবিষ্কৃত পদ্ধতি কোনও ‘লাইভ মডেল’-এ উপর প্রয়োগ করেছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। অনিকা জানিয়েছে, ‘যখন ছোট ছিলাম, দাদু তখন থেকেই আমাকে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার জন্য উৎসাহ দিত। দাদু ছিল কেমিস্ট্রির প্রফেসর। আমাকে সব সময় বলত পিরিয়ডিক টেবিল ভালোভাবে রপ্ত করতে। আমিও ধীরে ধীরে বিজ্ঞানের ভক্ত হয়ে গেলাম। বিজ্ঞানকে ভালোবেসে ফেললাম।’ আর, এখন তারই সুফল তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছে ১৪ বছরের কিশোরীটি। অনিকা বলেছে, ‘গত দু’দিন ধরে দেখছি, আমার প্রজেক্টটি নিয়ে মিডিয়ায় খুব হইচই হচ্ছে। দারুণ লাগছে। আশা করি, খুব শীঘ্রই পৃথিবী থেকে এই মারণ রোগ বিদায় নেবে। আমরা আবার সবাই আগের মতোই জীবনযাপন করতে পারব।’ বড় হয়ে বিজ্ঞানের দুনিয়ায় এভাবেই নিজের কাজেপ ছাপ রেখে যেতে চায় অনিকা।