গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ফ্লোরিডার মায়ামিতে ছিল ট্রাম্পের অনুষ্ঠান। বিডেনের টাউন হল মিটিং ছিল ফিলাডেলফিয়ার পেনসিলভেনিয়ায়। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে ভোটারদের প্রশ্নের উত্তর দিলেন দু’জনে। নিজস্ব স্টাইলে। একই সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বিডেনের টাউন হল মিটিং সম্প্রচার ঘিরে শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক। আমেরিকার ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির জন্য ট্রাম্পকে দায়ী করে বক্তব্য শুরু করেন বিডেন। মাস্ক পরা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তুলে ধরেন সেকথাও। তিনি বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় মাস্কের বিকল্প নেই। মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন।’ পরিস্থিতি অনুযায়ী ৫০টি প্রদেশের গভর্নরদের নিয়ে বৈঠক করে সর্বত্র মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার ভাবনার কথাও জানান বিডেন। ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর কথায়, কোনও রাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট। তাঁর উচিত, সবসময় মাস্ক পরা। কর নিয়েও নিজের অবস্থান আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট অবশ্য ছিলেন ট্রাম্পোচিত মেজাজে। সঞ্চালকের সঙ্গে তর্ক, আগ বাড়িয়ে জবাব—বাদ যায়নি কিছুই। হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে আয়োজিত অনুষ্ঠান সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমাকে সবকিছু দেখাশোনা করতে হয়। আমার পক্ষে ঘরে থাকা সম্ভব নয়।’ ২৯ সেপ্টেম্বর বিতর্কের আগে প্রেসিডেন্ট করোনা পরীক্ষা করেছিলেন কি না, জানতে চান ভোটাররা। ‘ঠিক মনে নেই’—জবাব দেন ট্রাম্প। মাস্ক নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। বলেন, যাঁরা মাস্ক পরেন, তারাও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু কীভাবে? তার ব্যাখ্যা অবশ্য ছিল না রিপাবলিকান প্রার্থীর কাছে। এমনকী আয়কর সংক্রান্ত প্রশ্ন এড়িয়ে এই বিতর্কের জন্য সংবাদমাধ্যমের দিকেই আঙুল তোলেন তিনি। ভোটে হেরে গেলে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে শান্ত শুনিয়েছে তাঁর গলা। বলেন, শান্তিপূর্ণভাবেই যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তবে আমি চাই, ভোট প্রক্রিয়াটি যেন স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হয়। পাশাপাশি স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে প্রতিপক্ষকে একহাত নিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বিডেন একজন আপাদমস্তক ও স্বার্থপর দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিক।’
সভার জায়গা নির্বাচনের পিছনেও দুই শিবিরের রণকৌশলের ছাপ স্পষ্ট। ট্রাম্প বেছে নিয়েছিলেন ব্যাটলগ্রাউন্ড ফ্লোরিডা। সেখানে ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট ২৯টি। আর বিডেনের অনুষ্ঠান ছিল পেনসিলভেনিয়ায়। সেখানে ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা ২০। তা নিশ্চিত করতেই দুই প্রার্থীর দুই স্থান নির্বাচন। সমীক্ষা অনুযায়ী, ফ্লোরিডায় বিডেনের থেকে সামান্য এগিয়ে ট্রাম্প। দেশজুড়ে অবশ্য ১১ পয়েন্টে এগিয়ে বিডেন। তা নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ ট্রাম্প। অনুষ্ঠানের শেষে তাঁর দাবি, ৩ নভেম্বর নির্বাচনের দিন ‘লাল ঝড়’ উঠবেই।