রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
গত জুন মাসে ভারতের অর্থনীতি নিয়ে পূর্বাভাস শুনিয়েছিল আইএমএফ। সেখানে তারা বলেছিল, চলতি অর্থবর্ষে দেশের জিডিপি সঙ্কোচন হবে ৪.৫ শতাংশ। কিন্তু এবার সেই পূর্বাভাস সংশোধন করে আইএমএফ জানিয়েছে, ২০২০ অর্থবর্ষে ভারতের মাথাপিছু জিডিপি কমে হবে ১ হাজার ৮৭৭ ডলার। ১ হাজার ৮৮৮ ডলারে দাঁড়াতে পারে বাংলাদেশের মাথাপিছু জাতীয় উৎপাদন। উল্লেখ্য, একটি দেশে মোট কত মূল্যের পণ্য ও পরিষেবা উৎপাদিত হয়, তাকে সেই দেশের জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে সংশ্লিষ্ট দেশের মাথাপিছু জিডিপি পাওয়া যায়।
তবে আশার কথাও শুনিয়েছে আইএমএফ। তাদের মতে, ২০২১-’২২ অর্থবর্ষে ঘুরে দাঁড়াতে পারে ভারতের অর্থনীতি। তখন জিডিপি ৮.৮ শতাংশ বৃদ্ধি হতে পারে। উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে একমাত্র ভারতেই অর্থনীতি চাঙ্গা হওয়ার সম্ভাবনা দেখছে তারা। আর এভাবেই চীনকে পিছনে ফেলে ‘দ্রুত আর্থিক বৃদ্ধির দেশ’-এর তকমা ধরে রাখবে ভারত। ২০২০ সালের প্রথমার্ধে করোনার জন্য অর্থনীতির উপর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করেছিলেন অর্থনীতিবিদরা। তাঁদের ধারণা ছিল, চলতি বছরের শেষের দিকে হয়তো পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। করোনার ধাক্কা সামলে চীন কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও অন্যান্য দেশ সেভাবে অর্থনীতিকে দাঁড় করাতে পারেনি।
দেশের জিডিপি চাঙ্গা করতে আর্থিক সংস্কারের পক্ষে জোর সওয়াল করেছেন অর্থনীতিবিদেরা। তাঁদের মতে, প্রতিটি দেশকেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা নিতে হবে। তবেই বিকাশ সম্ভব। আইএমএফের এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই মোদি সরকারকে একহাত নিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘বিজেপির ছ’বছরের বিদ্বেষপূর্ণ সংস্কৃতি ও জাতীয়তাবাদের এটাই ফল। ভারতকে পিছনে ফেলতে চলেছে বাংলাদেশ।’ অর্থনীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসও। ট্যুইটারে তারা লিখেছে, নরেন্দ্র মোদির ভুল সিদ্ধান্তের জন্য ভারতের অর্থনীতি আজ তলানিতে। একদিকে জিডিপি কমছে এবং অন্যদিকে বেকারত্ব বাড়ছে। পরিস্থিতি যা, তাতে আর্থিক বৃদ্ধির নিরিখে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের নীচে চলে যাবে ভারত।
প্রসঙ্গত, ভারত ছাড়া চলতি অর্থবর্ষে ‘ব্রিকস’ গোষ্ঠীভুক্ত বাকি তিন দেশের জিডিপি সঙ্কোচন হবে যথাক্রমে ব্রাজিল (৫.৮), রাশিয়া (৪.১) এবং দক্ষিণ আফ্রিকা (৮) শতাংশ। একমাত্র চীনের আর্থিক বৃদ্ধি থাকবে ১.৯ শতাংশ।