কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রবিবার, ১১ অক্টোবর ‘আন্তর্জাতিক শিশুকন্যা দিবস’। দিনটিকে স্মরণীয় রাখতে ১৮ থেকে ২৩ বছর বয়সি ছাত্রীদের জন্য একটি প্রতিযোগিতার পরিকল্পনা গ্রহণ করে নয়াদিল্লির ব্রিটিশ দূতাবাস। যার পোশাকি নাম—‘হাই কমিশনার ফর আ ডে’। অর্থাৎ, একদিনের জন্য রাষ্ট্রদূতের কুর্সিতে বসার অভিনব সুযোগ। একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে প্রতিযোগীদের বক্তব্যের ভিডিও রেকর্ড করে পাঠাতে বলা হয়। বরাদ্দ সময়সীমা দু’মিনিট। বিষয় ছিল—‘কোভিড পর্বে লিঙ্গসাম্যের সমস্যা ও সম্ভাবনা’। প্রতিযোগিতায় দিল্লির ছাত্রী চৈতন্যার বক্তব্যকে সেরার শিরোপা দেন বিচারকেরা।
ঠিক কোন মন্ত্রে বাকিদের টেক্কা দিলেন? সরাসরি এই প্রশ্নের জবাব না দিলেও চৈতন্যা জানান, ‘আমি ছোটবেলা থেকে নয়াদিল্লির ব্রিটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরির সদস্য। নিয়মিত যাতায়াত থাকার সুবাদে লেখাপড়ার প্রতি গভীর ভালোবাসা জন্মায়।’ স্কুলের চৌহদ্দি পেরিয়ে তিনি আপাতত ওয়াশিংটনের আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও অর্থনীতিতে স্নাতক স্তরে ভর্তি হয়েছেন। লেখাপড়ার বাইরেও চৈতন্যার একটি স্বতন্ত্র পরিচয় রয়েছে। তিনি দৃষ্টিহীন পড়ুয়া, অ্যাসিড আক্রান্ত ও রূপান্তরকামী গোষ্ঠীদের হয়ে একাধিক কর্মসূচিতেও নিয়মিত অংশ নিয়ে থাকেন।
একদিনের সাম্মানিক পদ গ্রহণ করে কেমন লাগল? একগাল হেসে অষ্টাদশীর সপ্রতিভ জবাব, ‘বুধবার সারাদিন কেটেছে বিচিত্র অভিজ্ঞতার মধ্যে। বর্তমানে মিডিয়াজগৎ কিংবা পুলিসি দুনিয়ায় মেয়েরা কীভাবে প্রতিনিধিত্ব করছে—সে বিষয়েও আমার ধারণা অনেকখানি বেড়েছে। এখন আমি সমাজের সর্বস্তরে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে আরও স্পষ্টভাবে নিজের মত জানাতে পারব।’ অন্যদিকে ২৪ ঘণ্টার জন্য চৈতন্যাকে কুর্সি ছেড়ে দিয়ে রীতিমতো উত্তেজিত জ্যান থম্পসনও। পরদিন থেকে ফের নিজস্ব রুটিনে ফেরা। তার আগে জ্যান বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতা আমার অত্যন্ত পছন্দের। একদিনের জন্য হলেও তা যেকোনও তরুণীর কাছে নিজেকে মেলে ধরার সুবর্ণ সুযোগ। এবছর আমি চৈতন্যার হাতে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব তুলে দিতে পেরে গর্বিত বোধ করেছি। তিনি যেভাবে আত্মবিশ্বাস ও দক্ষতার সঙ্গে কাজটি গ্রহণ করেছিলেন, তা দেখে আমি মুগ্ধ! চৈতন্যা সত্যিই যোগ্য বিজয়ী!’ চৈতন্যা বেঙ্কটেশ্বরম