বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে প্রতি ১১ জনের একজন না খেয়েই রাতে ঘুমোতে যান। সার্বিকভাবে সংখ্যাটা প্রায় ৬৯ কোটি। অ্যান্ডারসন বলেছেন, অসংখ্য মানুষ খিদের তাড়নায় ভুগছেন বা ওই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চলেছেন। করোনা মহামারীর কারণেও তা একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, ইয়েমেন, কঙ্গো, নাইজেরিয়া, দক্ষিণ সুদান, বুরকিনা ফাসোর মতো দেশে সংঘাত ও মহামারীর জোড়া ফলায় ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটানো এই মানুষগুলির দিকে বিশ্বের দৃষ্টি ঘোরাতেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই সংস্থাকে মনোনীত করা হয়েছে।
১৯৬১ সালে এই সংস্থাটি গঠিত হয়। গত বছর তারা ৮৮টি দেশের ৯ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষের কাছে ১ হাজার ৫০০ কোটি খাদ্যসামগ্রী তুলে দিয়েছে। তথ্যভিজ্ঞ মহলের মতে, আপাতভাবে এই পরিসংখ্যানকে বিরাট মনে হতে পারে। কিন্তু গোটা বিশ্বের অভুক্ত মানুষের নিরিখে তা ভগ্নাংশ মাত্র। তবুও খিদের জ্বালা মেটাতে ডব্লুএফপির অবদান অতুলনীয়। বিগত প্রায় তিন দশক ধরে ক্ষুধা মেটাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই সংস্থা। এতে সাফল্যও মিলেছে। আগামী ২০৩০ সালে মধ্যে বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে শপথ নিয়েছে ডব্লুএফপি।