গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ভাইস প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের শুরুটা হয় চেনা ছকেই। সঞ্চালক-সাংবাদিক সুজান পেজ করোনা সংক্রামিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডির সুস্থতা কামনা করেন। মঞ্চে আসেন দুই ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। মাঝে দূরত্ব প্রায় ১২ ফুট। সঙ্গে প্লেক্সিগ্লাসের দেওয়াল। করোনা সংক্রমণ রুখতে। আর এই ইস্যুতেই মাইক পেন্সকে আক্রমণের শুরুয়াত ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর। ট্রাম্পের ব্যর্থতা নিয়ে সরব হন কমলা। ২ লক্ষের বেশি মানুষের মৃত্যুর জন্য প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। বলেন, ‘আমেরিকানদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা নিয়ে কোনও পরিকল্পনা নেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের। প্রচার করার জন্য সুস্থ হওয়ার আগেই হাসপাতাল থেকে ফিরে এসেছেন। কোভিড ভ্যাকসিন নিয়েও তাড়াহুড়ো করছেন।’ ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর মন্তব্য, ‘চিকিৎসকরা যদি ভ্যাকসিন নিতে বলেন, নেব। কিন্তু ট্রাম্প বললে মানব না।’ কমলা হ্যারিসের কথার মধ্যেই আত্মপক্ষ সমর্থনে কথা বলতে শুরু করেন মাইক পেন্স। তাঁকে থামিয়ে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বলেন, ‘মিঃ ভাইস প্রেসিডেন্ট, আমি এখনও বলছি’। চুপ করে যান পেন্স। পরে বলেন, ‘ট্রাম্প শুরুতেই পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ বছরের মধ্যেই এক কোটিরও বেশি ভ্যাকসিনের ডোজ আনার পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের।’ ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনীতি না করার অনুরোধও করেন তিনি। এদিনের বিতর্কে বেশ কয়েকবার হ্যারিসের কথার মধ্যেই মন্তব্য করেন পেন্স। প্রতিবারই একই কথা বলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী। মেজাজ না হারিয়েই। কৌশলে কমলা হ্যারিসের রক্ষণ ভাঙতে না পেরে ইস্যুভিত্তিক আক্রমণ শানান রিপাবলিকান প্রার্থী। পেন্সের দাবি, বিডেন-হ্যারিস জুটি নির্বাচনে জিতলে আমেরিকার নাগরিকরা সমস্যায় পড়বেন। বাড়বে আয়কর। কমলার জবাব, বছরে চার লক্ষ ডলারের কম আয়ের মানুষদের কোনও ট্যাক্স বাড়ানো হবে না। ওবামা কেয়ার নিয়ে ট্রাম্প সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন তিনি। পাল্টা পেন্সের দাবি, ওবামা কেয়ার একটি খারাপ স্বাস্থ্য কর্মসূচি।
বিতর্ক সভায় টক্কর ছিল সেয়ানে সেয়ানে। কিন্তু এদিন কেউই আগ বাড়িয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেননি। বরং বেশ কিছু ‘বাইরের বল’ প্রশ্ন বেশ সতর্কভাবে ‘ছেড়ে দিয়েছেন’। দু’জনের কাছেই তাঁদের উত্তরসূরি সম্পর্কে জানতে চান সঞ্চালক সুজান পেজ। উত্তর না দিয়ে পেন্স ফিরে যান করোনা সংক্রান্ত আলোচনায়। হ্যারিস নিজের কেরিয়ার রেকর্ড তুলে ধরেন। ট্রাম্পের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে রিপাবলিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বলেন, ‘ট্রাম্প পজিটিভ হওয়ায় দেশের মানুষ যেভাবে পাশে রয়েছেন, তা দেখে আমরা অভিভূত।’ এই বিতর্কের ফল কী? প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের সঞ্চালক ক্রিস ওয়ালসের মতে, ‘ম্যাচ ড্র’।