পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাক হোল নিয়ে মানুষের উৎসাহ, কৌতূহলের শেষ নেই। গল্পের বই থেকে সিলভার স্ক্রিন — সর্বত্রই তা নিয়ে নানা কাহিনী রয়েছে। কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে তৈরি হয়েছে একাধিক ছবি, সায়েন্স ফিকশন। তার উৎপত্তি, গঠন, অতীত-ভবিষ্যৎ নিয়ে বিজ্ঞানীরা নানা গবেষণা চালাচ্ছেন। সেই কৃষ্ণগহ্বরের গঠন নিয়ে দিশা দেখালেন ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক রজার পেনরোজ। গবেষণায় তিনি প্রমাণ করেছেন, পদার্থবিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদের সাধারণ তত্ত্বের উপর ভর করে ব্ল্যাক হোলের জন্ম সম্ভব।
এবারের পদার্থবিদ্যার নোবেলের বাকি দু’জন হলেন, জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর এক্সট্রাটেরেস্টিয়াল ফিজিক্সের অধিকর্তা রেনহার্ড গেঞ্জেল এবং আন্দ্রেয়া ঘেজ। তাঁরা যৌথভাবে আমাদের ছায়াপথ মিল্কিওয়েতে একটি অদৃশ্য এবং অত্যন্ত ভারী বস্তুর সন্ধান পেয়েছেন। গেঞ্জেল ও আন্দ্রেয়ার দাবি, ওই বস্তুটিই ছায়াপথের কেন্দ্রে থাকা নক্ষত্রদের কক্ষপথকে নিয়ন্ত্রণ করে। সেই বস্তুটি কোনও সাধারণ নয়, সেটিও একটি দানবীয় কৃষ্ণগহ্বর। এটির ওজন সূর্যের ভরের ৪০ লক্ষ গুণেরও বেশি। আর এটা জানার পরেই বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন, মিল্কিওয়ের মতো সমস্ত ছায়াপথেই রয়েছে জায়ান্ট ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্ব।
প্রসঙ্গত, আন্দ্রেয়া ঘেজ লস অ্যাঞ্জেলসে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা করেন। এর আগে মহিলা বিজ্ঞানী হিসেবে পদার্থবিদ্যায় এই কৃতিত্বের অধিকারী ছিলেন মেরি কুরি, গোপার্ট মায়ের এবং ডোন্না স্ট্রিকল্যান্ড। আগামী ১০ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। রজার পেনরোজ