কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সময়টা ছয়ের দশকের গোড়া। গুজরাতের আমেদাবাদ থেকে ভাগ্যান্বেষণে ব্রিটেন চলে আসেন ভালি ও জুবেইদা। ব্র্যাডফোর্ডের এক বস্ত্রশিল্পে কাজ নেন বালি। তাঁদের দুই সন্তান মহসিন ও জুবেরের জন্ম অবশ্য ব্রিটেনেই। বস্ত্র কারখানার কাজ ছেড়ে পেট্রল পাম্প চালাতেন ওই দম্পতি। দুই ছেলের ব্যবসার ইচ্ছা সেখান থেকেই। কৈশোরে ওই পেট্রল পাম্পে কাজ করতেন এই দুই ভাই। পরে সেই টাকায় গ্যারাজ লিজ নেন দুই ভাই। কাজের সেই অর্থ জমিয়ে একটি পেট্রল পাম্প কেনেন ইশা ভাইয়েরা। সেটা ২০০১ সাল। তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি দুই ভাইকে। সামান্য একটা পেট্রল পাম্প থেকে বিশ্বের ১০টি দেশে অন্তত ছয় হাজার পেট্রল পাম্পের ব্যবসা চালাচ্ছেন তাঁরা। প্রাথমিকভাবে ইউরো গ্যারাজ ব্র্যান্ডে ব্যবসা শুরু করেন তাঁরা। সেই নাম এখন বদলে হয়েছে ইজি গ্রুপ। এখন ব্রিটেনে ১১০টি স্টারবাক স্টোর্স ও ১২৫টি কেএফসি স্টোর্সের ফ্র্যাঞ্চাইজি রয়েছে এই গ্রুপের। ব্ল্যাকবার্ন থেকে উত্থান হয়ে এই গ্রুপ এখন ছড়িয়ে পড়েছে জার্মানি, নেদারল্যান্ডস থেকে শুরু করে আমেরিকার বিভিন্ন শহরে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই দুই ভাই সম্প্রতি ৬৮০ কোটি পাউন্ডে কিনে নিলেন ওয়ালমার্ট পরিচালিত আসদা। আসদা ব্রিটেনের অন্যতম জনপ্রিয় সুপারমার্কেট। ওয়ালমার্টের হাতে থাকছে মাইনরিটি শেয়ার।
এখন ব্রিটেনের ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম এই দুই ভাই। সামান্য রোজগার থেকে তাঁদের বিলিওনিয়ার হওয়ার এই চমকপ্রদ কাহিনী সকলেরই মুখে ঘোরে। কঠোর পরিশ্রম আর মেধার মিশ্রনে আজ এই জায়গায় পৌঁছেছেন মহসিন ও জুবের। অথচ এখনও অত্যন্ত সাদাসিধে জীবনযাপন করেন এই দুই ধনকুবের। শিল্পমহল থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ সকলেই তাই ব্রিটেনের এই দুই শিল্পপতির প্রশংসা করেন। আসদার সিইও রজার বার্নলে বলেছেন, ওনারা অত্যন্ত বিনয়ী।
এই দুই ভাই আসদা গ্রুপ কিনে নিচ্ছেন খবর পেয়েই উচ্ছ্বাস গোপন করেননি ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক। দু’দশক পর আসদার মালিকানা ব্রিটিশ হাতে আসায় খুশি সুনাক লিখেছেন, নতুন মালিকরা আগামী তিন বছরে ১০০ কোটি পাউন্ড বিনিয়োগ করবেন বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন ব্রিটিশ জোগানদারদের পণ্য বেশি করে ব্যবহার করা হবে।