কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
সোমবার নোবেল কমিটি জানিয়েছে, রক্তবাহিত হেপাটাইটিসের ব্যাখ্যা দিয়েছেন এই তিন বিজ্ঞানী। হেপাটাইটিস ‘এ’ বা ‘বি’ সেই ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। ওই ত্রয়ীর গবেষণায় রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে হেপাটাইটিস-সি নির্ণয় সম্ভব হয়েছে। কোটি কোটি রোগীকে সঞ্জীবনী জুগিয়েছে তিন বিজ্ঞানীর গবেষণা থেকে তৈরি ওষুধ। তাঁদের এই অবদানের জন্য হেপাটাইটিস-সি আক্রান্ত রোগী আজ সুস্থ হয়ে উঠছেন।
ফ্ল্যাভিভিরিডি পরিবারের ভাইরাস হল হেপাটাইটিস। হার্ভে জে অল্টার মার্কিন ভাইরোলজিস্ট। ১৯৭০ সালের মাঝামাঝি অল্টার দাবি করেছিলেন, হেপাটাইটিস শুধুমাত্র এ ও বি ভাইরাস দ্বারাই বাহিত হয় না। পরে হেপাটাইটিস সি ভাইরাস চিহ্নিত করেন তিনি। চার্লস এম রাইসও মার্কিন ভাইরোলজিস্ট। বর্তমানে তিনি রকফেলার ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা ও গবেষণা করেন। ২০০২ ও ২০০৩ সালে ফ্ল্যাভিভাইরাস পরিবারের সদস্যদের চিহ্নিত করতে শুরু করেন চার্লস। পরে হেপাটাইটিস সি ভাইরাস তিনিও শনাক্ত করেন। অন্যদিকে, মাইকেল হাউটন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী। কুই-লিম চু, জর্জ কুও এবং ড্যানিয়েল ব্র্যাডলের সঙ্গে যৌথভাবে হেপাটাইটিস সি ভাইরাস চিহ্নিত করেছিলেন তিনি।
গত শতাব্দীতে হেপাটাইটিস-এ ভাইরাসের প্রথম সন্ধান মিলেছিল। তারপর হেপাটাইটিস-বি আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী বারুচ ব্লুমবার্গ। তিনি প্রথম দেখিয়েছিলেন, রক্তবাহিত এই ভাইরাসের সংক্রমণ কতটা মারাত্মক হতে পারে। সেখান থেকে লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যান্সারের প্রমাণ তিনিই দিয়েছিলেন। তার জন্য ১৯৭৬ সালে নোবেল পুরস্কার পান ব্লুমবার্গ। এবার সেই একই গোত্রের আরও একটি ভাইরাসের সন্ধান দিয়ে নোবেল পেলেন তিন চিকিৎসা বিজ্ঞানী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, প্রতি বছর সাত কোটিরও বেশি মানুষ হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হন। ক্রনিক এই রোগে চার লক্ষেরও বেশি ব্যক্তি প্রাণ হারান।