কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
লক্ষ্য হোয়াইট হাউস
৩ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোট। এই নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন আমজনতা। ‘পপুলার ভোট’। কিন্তু ভোটারদের পছন্দের ভোট পাওয়ার সঙ্গে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। ফরেন প্রেস সেন্টারস আয়োজিত ভার্চুয়াল রিপোর্টিং ট্যুরের এক ওয়েবিনারে অধ্যাপক মার্ক রোজেল জানান, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট সরাসরি ভোটারদের ভোটে নির্বাচিত হন না। তিনি নির্বাচিত হন ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ ভোটের মাধ্যমে। ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’—একদল নির্বাচকমণ্ডলী, যারা এক একটি প্রদেশের পপুলার ভোটে প্রতিফলিত রায় অনুযায়ী ভোট দেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি প্রদেশের ইলেক্টোরাল ভোটসংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন। এই পর্বের আরও একটি নিয়ম হল—যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি পপুলার ভোট পাবেন, তিনি ওই রাজ্যের সবগুলো ইলেক্টোরাল ভোট পেয়ে যাবেন। মার্কিন রাজনীতির পরিভাষায়, ‘উইনার্স টেক অল’। ৩ অক্টোবরের জাতীয় সমীক্ষায় জো বিডেন (৪৯.৮ শতাংশ) এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্পের (৪১.৫ শতাংশ) থেকে। তবে জনপ্রিয়তার অঙ্ক যে সব সময় এক থাকে না, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন মার্ক রোজেল। জানিয়েছেন, গত নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনের জনপ্রিয়তা-গ্রাফ ছিল ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাঁকে টেক্কা দেন জনমোহিনী ট্রাম্প।
ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটে নজর ট্রাম্প-বিডেনের
মার্ক রোজেলের মতে, ইলেক্টোরাল কলেজে মোট ভোটের সংখ্যা ৫৩৮। এর মধ্যে যে প্রার্থী ২৭০টি ভোট পাবেন—তিনিই প্রেসিডেন্ট। এই কারণেই প্রার্থীদের কাছে ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটগুলির ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। ব্যাটলগ্রাউন্ড—ভোটপ্রার্থীদের কাছে এই প্রদেশগুলি এখন নির্বাচনী রণক্ষেত্র। ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতি অনুযায়ী যেসব প্রদেশে জনসংখ্যা বেশি, সেখানে ইলেক্টোরাল ভোটও বেশি। ২০১০ সালের জনগণনা অনুযায়ী ক্যালিফোর্নিয়ায় ৩ কোটি ৭২ লক্ষ ৫৩ হাজার ৯৫৬ জনের বাস। সেখানে ইলেক্টোরাল ভোটসংখ্যা ৫৫। উল্টোদিকে মন্টানার জনসংখ্যা মাত্র ৯ লক্ষ ৮৯ হাজার ৪১৫। সেখানে ইলেক্টোরাল ভোট কম। ফলে বড় প্রদেশগুলি থেকে ইলেক্টোরাল ভোট জেতার জন্য অতিরিক্ত পরিশ্রম করছে দুই শিবির।
সুইং স্টেটে জোর লড়াই
রিপাবলিকান ‘রেড স্টেট’ বা ডেমোক্র্যাট ‘ব্লু স্টেট’ নিয়ে প্রার্থীদের বিশেষ চিন্তা থাকে না। নির্বাচনী রণকৌশলের মূল কেন্দ্রে থাকে সুইং স্টেটগুলি। এই সমস্ত প্রদেশের ভোট নিয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায় না। শেষ মুহূর্তে ওই ভোট যে কোনও শিবিরে যেতে পারে। সমাবেশ থেকে টক শো, এই সমস্ত প্রদেশে প্রচারে কোনও ফাঁক রাখেন না প্রার্থীরা। কারণ তাঁরা জানেন, আগামী চার বছর হোয়াইট হাউসের অলিন্দে কে থাকবেন, তা ঠিক হবে এখানেই।
কোথায় কে এগিয়ে
সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, ২০২০’র নির্বাচনে অ্যারিজোনা, মিশিগান, ফ্লোরিডা, পেনসিলভেনিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা, মিনেসোটা, অ্যারিজোনা, ওহায়ো ও উইসকনসিন হয়ে উঠতে পারে গুরুত্বপূর্ণ সুইং স্টেট। কারণ এই প্রদেশগুলিতে ২০১৬-র নির্বাচনে ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে হিলারি ক্লিনটনকে টেক্কা দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্ক রোজেল জানান, এবারের নির্বাচনী সমীক্ষায় অবশ্য একাধিক সুইং স্টেটে ট্রাম্পকে কিছুটা হলেও পিছনে ফেলে দিয়েছেন বিডেন। যেমন—ভার্জিনিয়া। বর্তমানে এখানে ডেমোক্র্যাটদের পাল্লা ভারী। অন্যদিকে, বদলাচ্ছে ওহায়োর ছবিও। ক্রমশ রিপাবলিকান শিবিরের দিকে ঝুঁকছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সুইং স্টেটটি। করোনা সংক্রমণের মধ্যেও যা স্বস্তি জোগাচ্ছে ট্রাম্পকে।