কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
নির্বাচনী প্রচার থেকে সোশ্যাল মিডিয়া—সর্বত্র বিডেনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আক্রমণাত্মক ট্রাম্প। প্রসঙ্গক্রমে ফরেন প্রেস সেন্টারস আয়োজিত ভার্চুয়াল রিপোর্টিং ট্যুরের এক ওয়েবিনারে অধ্যাপক মিচেল ম্যাকিনে জানান, এই ধরনের বিতর্ক সভায় ভোটারদের কাছে নিজের ইমেজ তুলে ধরাই প্রাথমিক লক্ষ্য থাকে প্রার্থীদের। কিন্তু ট্রাম্প কিছুটা আলাদা। প্রথম সাক্ষাতেই বিডেনের যাবতীয় রক্ষণ ছাড়খার করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। সেভাবেই ঘুঁটি সাজাচ্ছেন তিনি। না হলে প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের আগে কোনও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বলেন যে, প্রস্তুতি নিয়ে কোনও সময় নষ্ট তিনি করছেন না! উল্টে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি রোজই বিতর্কের জন্য প্রস্তুত। এই বিতর্কে যাবতীয় চাপ বিডেনের উপর।’
এক্ষেত্রে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কী করতে পারেন? মিচেল ম্যাকিনের মতে, প্রেসিডেন্ট পদে থাকা ব্যক্তি ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামলে একটাই প্রশ্ন ওঠে—তিনি কি থাকার যোগ্য? ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই প্রশ্ন তুলেই আক্রমণ শানাতে পারেন বিডেন। প্রথম বিতর্কে কোভিড-১৯, সুপ্রিম কোর্টের মতো বিষয় পাবেন তিনি। হাতে রয়েছে ট্যাক্স-বিতর্কের মতো টাটকা ইস্যুও। মঙ্গলবার নিজের ও স্ত্রীর কর সংক্রান্ত আরও তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন বিডেন। ২০১৯ সালে তাঁরা যৌথভাবে ৩ লক্ষ ডলার কর দিয়েছেন। এই নিয়ে ট্রাম্পকে কোণঠাসা করার সুযোগ পাবেন তিনি। যদিও বিতর্কে কী হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে অনেকেরই। ম্যাকিনে জানিয়েছেন, আগে প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক ছিল ইস্যু ভিত্তিক। কিন্তু ট্রাম্প প্রতিপক্ষকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেও পিছপা হন না। ইতিমধ্যে তাঁর হুঙ্কার, ‘বিডেন প্রেসিডেন্ট পদের জন্য উপযুক্ত নন। এটাই মানুষকে বোঝাতে হবে। এই গুরুদায়িত্ব সামলানো তাঁর কম্ম নয়।’কৌশল স্পষ্ট। চাপ বাড়িয়ে বিডেনকে দিশাহারা করে দেওয়া। ‘মগজাস্ত্র’ই যে ট্রাম্পের ট্রাম্প কার্ড।
ওহায়োতে ট্রাম্প।-পিটিআই