পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত ১৮ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রুথ ব্যাডার গিনসবার্গের। তাঁর পদে কে আসবেন, তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। রাজনৈতিক তরজা শুরু হয় ট্রাম্প-বিডেনের মধ্যে। শনিবার ব্যারেটের মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই ফের তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ রুখতে ইতিমধ্যে মার্কিন সেনেটের দ্বারস্থ হয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বিডেন। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট এবং পরবর্তী কংগ্রেস নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত এই মনোনয়ন আটকে দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। ওবামা আমলের স্বাস্থ্যবিমা বিরোধী ব্যারেটের মনোনয়নের বিরোধিতা করেছেন বিডেনের রানিং মেট—কমলা হ্যারিসও। তিনি বলেন, ‘বিচারপতি গিনসবার্গের পদে এই মনোনয়ন থেকে ট্রাম্পের উদ্দেশ্য স্পষ্ট। তাঁরা ওবামার আমলের স্বাস্থ্যবিমা আইন ধ্বংস করতে চায়। এই নির্বাচনের ফলে বহু মার্কিন নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’ একই দাবি করেছেন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। ভোটের মুখে গর্ভপাত বিরোধী, বন্দুক–নীতির পক্ষে থাকা ব্যারেটের মনোনয়ন নিয়ে সরব হয়েছেন ডেমোক্র্যাটরা।
আসন্ন নির্বাচনে ব্যারেটের মনোনয়নের প্রভাব পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক মার্ক রোজেল। ফরেন প্রেস সেন্টারস আয়োজিত ভার্চুয়াল রিপোর্টিং ট্যুরের ওয়েবিনারে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই মনোনয়নকে হাতিয়ার করে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা নিজেদের দিকে বড় অংশের ভোটারদের টানতে পারেন। সেনেট এই মনোনয়নে সিলমোহর দিলে বিডেনের থেকেও অনেক বেশি লাভবান হবেন ট্রাম্প। ভোটাররা যদি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে মনোনয়ন নিয়ে বেশি আলোচনা করেন, সেক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণের মতো ইস্যু পিছনের সারিতে চলে যাবে। ঢাকা পড়ে যাবে ট্রাম্পের ব্যর্থতা।’ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টে মেরিক গার্লান্ডকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন বারাক ওবামা। কিন্তু রিপাবলিকানরা সেই মনোনয়ন আটকে দিয়েছিল। যদিও এবারে তার পুনরাবৃত্তি হওয়া কঠিন। কারণ, ৪৮ বছরের ব্যারেটের মনোনয়ন রোখার সংখ্যা নেই ডেমোক্র্যাটদের। রিপাবলিক নেতা মিচ ম্যাকোনেল সাফ জানিয়েছেন, এই মনোনয়নে তাঁর সম্মতি রয়েছে। অ্যামি বিচারপতি নির্বাচিত হলে সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের প্রভাব অনেকটাই বাড়বে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।