কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর থেকেই ট্রাম্প প্রশাসনের গলার কাঁটা হয়ে উঠেছে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কৃষ্ণাঙ্গদের বড় অংশের সমর্থন ডেমোক্র্যাটদের দিকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে একাধিক সমীক্ষাকারী সংস্থা। সেই ক্ষতে প্রলেপ বোলাতেই ট্রাম্পের এদিনের ঘোষণা—মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে, ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেটগুলিতে বিডেনকে টক্কর দিতে লাতিন ও কৃষাঙ্গ ভোট যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে, তাও বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন ট্রাম্প। সেই কারণেই জর্জিয়ার মতো স্যুইং স্টেটে দু’দিনের প্রচার কর্মসূচি নিয়েছেন তিনি। সমীক্ষার বিচারে মায়ামি, আটলান্টা, নিউপোর্ট নিউজের মতো জায়গায় এগিয়ে রয়েছেন বিডেন। ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর জনপ্রিয়তা কাড়তে ইতিমধ্যে এই সব জায়গায় র্যালি করেছেন ট্রাম্প। লক্ষ্যপূরণ করতেই হবে যে!
নির্বাচনের এই প্রচার পর্বে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেটগুলিকে ‘পাখির চোখ’ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর কাছে সর্বাধিক গুরুত্ব পাচ্ছে কৃষ্ণাঙ্গ ও লাতিন ভোটাররা। কিন্তু কেন? ফরেন প্রেস সেন্টারস আয়োজিত ভার্চুয়াল রিপোর্টিং ট্যুরের এক ওয়েবিনারে অধ্যাপক মার্ক রোজেল এর উত্তরে জানান, এই মুহূর্তে এখানকার ভোটারদের বড় অংশ লাতিন আমেরিকান। ২০০০ সালের পর থেকে লাতিন আমেরিকানদের জনসংখ্যা বেড়েছে ৫০ শতাংশেরও বেশি। সেখানে শ্বেতাঙ্গ ভোটারদের সংখ্যা বেড়েছে মাত্র ১ শতাংশ। তিনি আরও জানান, ২০০৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১ কোটি ৯৫ লক্ষ লাতিন আমেরিকান ভোটার ছিলেন। ২০২০ সালে সেই ভোটার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ২০ লক্ষ। তবে ভোটদানের ক্ষেত্রে শ্বেতাঙ্গ (৭৪ শতাংশ) বা কৃষ্ণাঙ্গদের (৭০ শতাংশ) তুলনায় লাতিন আমেরিকানরা (৬০ শতাংশ) কিছুটা পিছিয়ে রয়েছেন বলেও জানান মার্ক রোজেল।