বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিনের শুনানিতে সাক্ষ্য দেন প্রফেসর রিচার্ড কোকার, ডাঃ অ্যান্ড্রু ফরেস্টার ও ডাঃ অ্যালেন মিচেল। আর্থার রোড জেলে নীরব মোদির করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন প্রফেসর কোকার। ডাঃ অ্যান্ড্রু ফরেস্টার মোদির মানসিক স্বাস্থ্যের রিপোর্ট দেন। তিনি বলেন, এই ধরনের রোগীদের আত্মহত্যা করার প্রবণতা থাকে। মোদির মানসিক স্বাস্থ্য যে ক্রমশ খারাপ হয়েছে, তাও জানান তিনি। ভারত সরকারের কৌঁসুলি হেলেন ম্যালকম বলেন, এখন বারাক-১২ সম্পূর্ণ ফাঁকা। এখানে পানীয় জল ও হাত ধোয়ার সুবন্দোবস্ত রয়েছে। ভেন্টিলেশনও খুব ভালো। মোদির কৌঁসুলি ক্লেয়ার মন্টোগোমারি পাল্টা বলেন, আগস্টেই এই জেলের ২৪ জনের করোনা হয়েছে। বারাক-১২ যতই ফাঁকা থাকুক, স্টাফদের থেকেও করোনা ছড়াতে পারে। এদিন ডাঃ অ্যালেন মিচেল কারাগারের পরিকাঠামো নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁর দাবি ছিল, বারাক-১২-তে সূর্যালোক ঠিকমতো প্রবেশ করতে পারে না। জেলে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকা, এমনকী ব্রিটেনের মানবাধিকারের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি। বস্তুত, ডাঃ মিচেল এদিন বোঝাতে চান, নীরব মোদিকে আর্থার রোড জেলের সেলে একা রাখা হলে, তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য আরও খারাপ হবে। তখন ভারত সরকারের কৌঁসুলি আর্থার রোড জেলের বারাক-১২-এর ভিডিও আবার দেখান। ওই ভিডিওতে ভেন্টিলেশন ও আলো-হাওয়া চলাচলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে বলে দেখানো হয়েছে। শুক্রবার শুনানিতে সাক্ষ্য দেবেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মার্কেণ্ডেয় কাটজু।