পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিনও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওয়ান্ডওয়ার্থ কারাগার থেকে শুনানিতে হাজিরা দেন নীরব মোদি। পরনে সেই একই নীল স্যুট। আর এক ফেরার অভিযুক্ত বিজয় মালিয়ার মামলায় যেমন তাঁর আইনজীবীরা ভারতীয় জেলের অব্যবস্থার কথা তুলে প্রত্যর্পণ ঠেকাতে চেয়েছিলেন, ঠিক একই কায়দায় এদিন সওয়াল করেন নীরবের আইনজীবী ক্লেয়ার মন্টোগোমারি। জেলা জাজ স্যাময়েল গুজের সামনে সওয়ালে তিনি বলেন, তাঁর মক্কেলের মানসিক ও শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। এই অবস্থায় তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণ করা হলে, তাঁর ঠাঁই হবে মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে। সেই জেলের পরিকাঠামো মোটেও ভালো নয়। যেহেতু নীরব মোদিকে ঘৃণার চোখে দেখা হচ্ছে, তাই তাঁর বিচারও পক্ষপাতদুষ্ট হবে। পরিস্থিতির চাপে জেলে আত্মহত্যাও করতে পারেন তাঁর মক্কেল।
ক্লেয়ার বলেন, ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ চলতে থাকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ মুম্বই হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভয় থিপসে সম্পর্কে কী মন্তব্য করেছেন, সওয়ালে তা তুলে ধরে ভারতীয় বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে দেন নীরব মোদির আইনজীবী। করোনা সংক্রমণ নিয়ে ভারত সরকারের দাবির সত্যতা খতিয়ে দেখতে সেখানে টিম পাঠানোর কথাও ভাবছে মোদির আইনজীবী টিম। গতকালই আদালতে ভারতের হাইপ্রোফাইল অপরাধীদের জন্য রাখা আর্থার রোড জেলের বারাক-১২ সেলের একটি ছোট ভিডিও দেখানো হয়। ভারতের তরফে ক্রাউন প্রসিকিউশন হেলেন ম্যালকম সওয়ালে করোনা প্রতিরোধে জেলে কতটা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার বিস্তারিত বিবরণ দেন।
তিনি জোরের সঙ্গেই বলেন, এই ভিডিও কোনও কৃত্রিমভাবে শ্যুট করা হয়নি। তাই জেলের অবস্থা দেখে এটা স্পষ্ট যে, মানবাধিকার সংক্রান্ত ইউরোপীয় কনভেনশনের বিধির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে তৈরি ব্রিটেনের ৩ নম্বর ধারা মোটেও ভঙ্গ হচ্ছে না। ভিডিওতে দেখানো হয়েছে, জেলে যথেষ্ট পরিকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। পর্যাপ্ত আলো-বাতাস এখানে রয়েছে। কয়েদিরা যাতে বাইরে দৈনিক পায়চারি ও ব্যায়াম করতে পারেন, তার ব্যবস্থাও রয়েছে। সেলে অ্যাটাচড বাথরুম রয়েছে। গোপনীয়তার জন্য পর্দা সেখানে দেওয়া আছে। রয়েছে তিনটি সিলিং ফ্যান, ছ’টি টিউবলাইট ও এলইডি টিভি। সওয়ালে আইনজীবী বলেন, এই ঘর এখন ফাঁকা রয়েছে। কিন্তু এখানে এতটাই জায়গা রয়েছে যে, অন্য কেউ থাকলেও, অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।