কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তাঁর নাগরিকত্ব এবং যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে রিপাবলিকানদের একাংশ। আর এই আক্রমণের নেতৃত্বে রয়েছেন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে কমলা প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি শুনলাম যে ওঁর হোয়াইট হাউসে প্রবেশের যোগ্যতা নেই।’ উল্লেখ্য, মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্টকে আমেরিকায় জন্মাতে হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কমলার মনোনয়নই যখন চূড়ান্ত হয়নি, তখন তাঁকে আক্রমণের জন্য বেছে নেওয়ার অর্থ একটাই— কমলাকে ভয় পাচ্ছে রিপাবলিকানরা। ভয় পাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কমলার নাগরিকত্ব নিয়ে এই আক্রমণের সঙ্গে অনেকেই বারাক ওবামার মিল পাচ্ছেন। মার্কিন ইতিহাসে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্টকেও ‘বার্থার মুভমেন্ট’ সামলাতে হয়েছিল। জানা গিয়েছে, ডঃ জন ইস্টম্যানের ‘নিউজউইক’-এ একটি উত্তর সম্পাদকীয় নিবন্ধকে ঘিরে কমলার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘বার্থার মুভমেন্ট’ শুরু হয়েছে। ২০১০ সালে কমলার কাছে হেরে যান এই রিপাবলিকান ইস্টম্যান। কমলার দেশাত্মবোধ এবং যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা এই ইস্টম্যানকেই ‘বিশিষ্ট আইনজীবী’ বলেছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনুগামীরা আবার বলতে শুরু করেছেন, ডেমোক্র্যাট দলে মনোনয়ন চূড়ান্ত করতেই কমলাকে বেছে নিয়েছেন বিডেন। ট্রাম্পের নির্বাচনী শিবিরের সবচেয়ে প্রভাবশালী সদস্য কিম্বারলি গুয়েলফয়েল বলেন, ‘ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিগুলিতে আমেরিকার মানুষজন কমলাকে দেখছেন। কিন্তু আর ভোটের দিন তাঁরা প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পকেই পুনর্নির্বাচিত করবেন।’ ট্রাম্পের নাতনি লারা ট্রাম্পের আক্রমণ আরও শানিত। তাঁর কথায়, ‘বিডেন-হ্যারিসের আমলে আমেরিকার মানুষের জীবনযাত্রা সবচেয়ে খারাপ হবে। তাঁরা আমেরিকাকে সমাজতান্ত্রিক দেশে পরিণত করবেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকরা দিয়ে আমেরিকার মানুষদের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখবেন।’
তবে বিরূপ সমালোচনার মধ্যেও কমলার প্রশংসায় পঞ্চমুখ জো বিডেন। শুক্রবার বিডেন এবং কমলা ডেমোক্র্যাটদের মনোনয়নের জন্য নথি জমা দেন। ইতিমধ্যে কমলাকে নিয়ে তিনি দু’দিন প্রচার সেরে ফেলেছেন। কমলার সঙ্গে তাঁর প্রচারের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বিডেন বলেন, ‘অভূতপূর্ব। আমাদের দারুণ সময় কাটল।’