কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
গুগল সার্চে সবচেয়ে বেশি খোঁজা মানুষের তালিকায় কে? রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার বিয়ে হয়েছে কি না, তিনি কতটা ধনী, তাঁর পরিবার সম্পর্কে জানতে গোটা দুনিয়া আগ্রহী। কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট সেই সুযোগ দিতে নারাজ। এমনকী নিজের মেয়েদের সম্পর্কেও কোনও কথা তাঁর মুখ নিয়ে শোনা যায় না। যতদূর জানা যায়, তিনি এখন আর বিবাহিত নন। ৩০ বছরের বিবাহিত জীবন শেষে ২০১৩ সালে তার স্ত্রী লুডমিলার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। এই লুডমিলার দুই মেয়ে— ক্যাটরিনা এবং মারিয়া। গত তিন দশক ধরে এরা দু’জনই ছিল অজ্ঞাতে। তিখোনোভা ছিল ক্যাটরিনার দিদিমার ডাকনাম। গত বছর রাশিয়ার সাংবাদিকরা প্রেসিডেন্টের শাশুড়ির নামটি প্রকাশ করেন। এই তথ্যটি প্রকাশের পর মারিয়া ও ক্যাটরিনাকে চিনতে পারে দেশবাসী। আর তারপর থেকেই পুতিনের ছোট মেয়ে ক্যাটরিনা তিখোনোভার নিয়ে সংবাদমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনি শিক্ষক, লেখক ও নৃত্যশিল্পী। কাজ করছেন মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটিতে (এমএসইউ)।
নিজের পরিবার সম্পর্কে গোপনীয়তা রক্ষা করে থাকেন পুতিন। খুব কম লোকেই তাঁর মেয়েদের চেনে। পুতিন নিজেও বলেছেন, মেয়েদের সঙ্গে দুই সপ্তাহ পরপর একবার তাঁর দেখা হয়। বড় মেয়ে মারিয়া একজন চিকিৎসক। তাঁর স্বামী নেদারল্যান্ডসের একজন ব্যবসায়ী।
শাসক হিসেবে পরিচিত পুতিনের পরবর্তী প্রজন্মের উত্থান কেমন হতে পারে, তা নিয়ে রয়টার্স সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। জানা যায়, ২৯ বছর বয়সি ক্যাটরিনা তিখোনোভার বিয়ে হয়েছে ধনকুবের কিরিল শামালভের সঙ্গে। গ্যাস ও জ্বালানি প্রতিষ্ঠানে তাঁর প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের অংশীদারিত্ব রয়েছে। কিরিলের বাবা নিকোলাই শামালভ হলেন পুতিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, যিনি রাশিয়ার একটি বিশাল ব্যাঙ্কের অংশীদার। গাজপ্রম ব্যাংকের ডেপুটি চেয়ারম্যান আন্দ্রেই আকিমভকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স বলছে, পুতিনের মেয়ে ক্যাটরিনা এমএসইউর ডেপুটি ভাইস রেকটর পদে কাজ করেন। সেখানে তাঁর নেতৃত্বে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে তরুণ বিজ্ঞানীদের সাহায্য করা হয়। এতে গাজপ্রম ব্যাঙ্ক পৃষ্ঠপোষকতা করে। পরে অবশ্য আকিমভ ওই বক্তব্য অস্বীকার করে বলেন, রুশ প্রেসিডেন্টের মেয়েকে চেনেন—এমন কোনও কথা তিনি বলেননি। রাশিয়ার রাজনীতিতে পুতিন ১৯৯০-এর দশক থেকেই প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেন। তাঁর বন্ধুদের অনেকে এই সময়ের মধ্যে বেশ বিত্তশালী হয়েছেন। তাঁদের সাহায্য নিয়েই পুতিনের ছোট মেয়ে ক্যাটরিনাও সমৃদ্ধিশালী হচ্ছেন বলে ধারণা করা হয়।
সেই ক্যাটরিনা তিখোনোভাকে কয়েক ফুট উপরে বাতাসে ছুঁড়ে মারার সাহস কারও হওয়ার কথা নয়। তবে যদি কোনও গ্রিজলি ভালুকের সঙ্গে লড়াই বাঁধে তাহলে এমনটা হতে পারে। কিংবা নির্বোধের পক্ষেই এমনটি করা সম্ভব। অবশ্য দিমিত্রি অ্যালেকসিভ যখন কাজটি করলেন, তখন তার মনে কোনও ভয় কাজ করেনি। কারণ পুতিনের কন্যা তার নাচের সঙ্গিনী ।
অ্যাক্রোব্যাটিক রক এন রোল নামে এক টুর্নামেন্টে যোগ দেন পুতিন তনয়া। এটি ছেলেমেয়ের জোড়া নৃত্য যেভাবে দারুণ প্রাণশক্তি আর দৃষ্টিনন্দন অ্যাক্রোব্যাটিক মুভমেন্ট প্রদর্শন করা হয়। সম্প্রতি রাশিয়ার টিভি রেইন তিখোনোভা এবং অ্যালেকসিভের দ্বৈত নৃত্যের দুটো ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করে। অবশ্য পরিচয় গোপন করেই নাচের এই প্রতিযোগিতায় নাম লেখান ক্যাটরিনা। নামটাকে গোপন করতে নিজের নামের সঙ্গে দিদিমার নাম জুড়ে দেন। ভ্লাদিমির পুতিনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ক্যাটরিনা কি তাঁরই মেয়ে? রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সাফ জবাব, পারিবারিক তথ্য ব্যক্তিগত গোপনীয় অংশ...।