উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
গতকাল রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর নিয়ে আলোচনার অনুরোধ জানায় পাকিস্তান। তাতে সমর্থন জানায় দোসর চীন। ঘটনাচক্রে গতকালই ছিল জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের বর্ষপূর্তি। যদিও নিরাপত্তা পরিষদের বাকি চার স্থায়ী সদস্য আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও রাশিয়া ভারতের পাশে দাঁড়ায়। ফলে খারিজ হয়ে যায় চীনের প্রচেষ্টা। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফের লেজে-গোবরে দশা হয় চীনের। আর বেজিংকে বাগে পেয়ে এদিন সুর চড়ায় ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলতে গিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘে এর আগেও ব্যর্থ হয়েছে চীন। এই ইস্যুটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাতে চীনের নাক গলানোর এই চেষ্টার কড়া বিরোধিতা করছি আমরা।
পাকিস্তান ও চীনকে একযোগে কোণঠাসা করার পর মুখ খোলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি। তিনি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের প্রায় সব দেশই সাফ জানিয়ে দিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর দ্বিপাক্ষিক (ভারত ও পাকিস্তানের) বিষয়। কাজেই এই ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের সময় নষ্ট করার কোনও মানে হয় না। পাকিস্তানের আরও একটি চেষ্টা ব্যর্থ হল।
রিপোর্ট অনুযায়ী, কাশ্মীর ইস্যুতে চীনকে ব্যাকফুটে ঠেলতে সবচেয়ে আগে এগিয়ে আসে আমেরিকা। ভারত পাশে পেয়ে যায় ব্রিটেন, ফ্রান্স ও রাশিয়াকেও। আগস্ট মাসে নিরাপত্তা পরিষদের পৌরোহিত্যের দায়িত্বে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছিল, ইন্দোনেশিয়ার সমর্থন চীন ও পাকিস্তানের দিকে যেতে পারে। যদিও বাস্তবে তা হয়নি। অন্য দেশগুলির মতো ইন্দোনেশিয়াও জানিয়ে দেয়, কাশ্মীর বিতর্ক ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক প্রচেষ্টাতেই তার সমাধান হওয়া উচিত।