রূপাঞ্জনা দত্ত, লন্ডন: তাল কেটেছে করোনা। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, জানেন না কেউই। এরই মধ্যে শুরু হতে চলেছে বিদেশের একাধিক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া শিক্ষাবর্ষ। ব্রিটেনেও সামনের মাসেই নতুন সেশন চালু হওয়ার কথা। যা নিয়ে ভারতের অসংখ্য পড়ুয়ার কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ। একাধিক প্রশ্নের পাশাপাশি উড়ো খবরের জেরে হাজারো দুর্ভাবনা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে তাঁদের। সেই যাবতীয় ধোঁয়াশা দূর করতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ব্রিটেনের প্রবাসী ভারতীয় ছাত্রদের সংগঠন ‘দ্য ন্যাশনাল ইন্ডিয়ান স্টুডেন্টস অ্যান্ড অ্যালামনাই ইউনিয়ন’ বা ‘নিসাউ’। শনিবার ও রবিবার এই দু’দিন ধরে তারা ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে ভার্চুয়াল আলোচনাসভার আয়োজন করেছিল। সেখানে যোগ দেয় ভারতের প্রায় ২ হাজার পড়ুয়া। সংগঠনের তরফে ব্রিটেনের একাধিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, প্রাক্তনী সহ বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। শিক্ষার মাধ্যম কী হতে চলেছে — অনলাইন না অফলাইন? কোর্স ফি আগের মতোই থাকছে? নাকি কমানো হচ্ছে? ভিসানীতির বদল আগামী দিনে কতটা প্রভাব ফেলতে চলেছে? — এমনই হাজারো প্রশ্নের ঢেউ আছড়ে পড়ে ভার্চুয়াল সেশনের কমেন্ট বক্সে। নিসাউয়ের চেয়ারপার্সন সনম অরোরা জানিয়েছেন, যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর তাঁরা স্পষ্ট এবং বিস্তারিতভাবে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। যদিও পড়ুয়াদের এভাবে বেকায়দায় পড়ার দায়ভার তিনি ভারতে সক্রিয় ভুয়ো এজেন্টদের উপর চাপিয়েছেন। সনমের অভিযোগ, বহুদিন ধরেই এরা দেশে ব্যাবসা ফেঁদে বসেছে। বিশ্বব্যাপী অতিমারীর আবহে পড়ুয়াদের বিভ্রান্ত করে অর্থ রোজগারের জন্য এই অসাধু চক্র ভুয়ো তথ্য প্রচার করে চলেছে। কেন্দ্রকে আরও কড়াভাবে এই বিষয়টি দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে ধোঁয়াশা কাটাতে আসরে নেমেছে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বা ‘ইনসা’ নামে ব্রিটেনের আরও একটি সংগঠন। প্রেসিডেন্ট অমিত তিওয়ারির দাবি, অনলাইন না অফলাইন পড়াশোনা—ভারতের পড়ুয়াদের অনেকেই এই নিয়ে দ্বন্দ্বে ভুগছে। এ বিষয়ে তাঁরা ইতিমধ্যে ব্রিটিশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। স্পষ্ট বার্তা পাওয়ামাত্র তাঁরা পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছে দেবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন অঙ্কিত। যদিও ইতিমধ্যে একাধিক প্রতিষ্ঠানের তরফে ইঙ্গিত মিলেছে, অনলাইন ও অফলাইনের মিশ্র পদ্ধতিতে আগামী শিক্ষাবর্ষ চালু হতে পারে।