পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিশ্বজোড়া খ্যাতি রয়েছে মার্কিন উদ্যোগপতি এলনের। তাঁর এমন অতর্কিত দাবিতে তোলপাড় মিশরও। পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের মধ্যে অন্যতম এই সৌধ। বছরের পর বছর ধরে পর্যটক ও ইতিহাস পিপাসুদের স্বপ্নের গন্তব্য হয়ে ওঠে মিশর। ইতিহাস বলে, প্রাচীন মিশরীয়দের বিশ্বাস ছিল, মৃত্যুর পরেও মানুষের আত্মা বেঁচে থাকে। কাজেই পরবর্তী জীবনে যাতে কোনও অসুবিধে না হয়, তার জন্য সুবিশাল স্মৃতিস্তম্ভ বানানোর কথা চিন্তা করেন দেশের ক্ষমতাবান শাসকরা। পাহাড় থেকে বিশাল বিশাল পাথরের খণ্ড কাটিয়ে আনতেন তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরে সেগুলি পরপর জুড়ে তৈরি হত একের পর এক পিরামিড। মিশরের রাজা ফ্যারাওদের দেহ ‘মমি’র আকারে রাখা হত সেখানে। গোটা কর্মকাণ্ডে হাত লাগাতেন সাধারণ শ্রমিকেরা। পিরামিড নির্মাণের একাধিক পুরাতন চিত্র সেই কর্মকাণ্ডের সাক্ষ্য-প্রমাণ।
যদিও ইতিহাসের এই সত্যকে নস্যাৎ করে এলিয়েনদের নায়ক বানানোর চলও বেশ পুরাতন। ভিনগ্রহের কষ্ট-কল্পনাকে এতদিন তোল্লাই দিয়েছেন যাঁরা, তাঁরা কেউই নিজেদের মতের স্বপক্ষে যুক্তি দিতে পারেননি। সে ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নন এলনও। আর তাতেই ঘনিয়েছে বিতর্ক। মুখ খুলেছেন মিশরের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী রানিয়া এ আল মাশাত। সম্প্রতি এলনকে খোঁচা দিয়ে তিনি তাঁর ট্যুইটে লিখেছেন, ‘আমি আপনার কাজের গুণমুগ্ধ একজন ভক্ত। মিশরে আপনাকে স্বাগত জানাই। এখানে এসে নিজের চোখে দেখে যান, প্রাচীন সৌধগুলি আদতে কারা তৈরি করেছে।’ এলনের মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সে দেশের বিখ্যাত পুরাতাত্ত্বিক জাহি হাওয়াসও। ‘ঘোরের বশেই মার্কিন ধনকুবের এমন চটুল ট্যুইট লিখেছেন’ বলে দাবি হাওয়াসের।