কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ভারত ওই বৈঠকে স্পষ্ট বলেছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার প্রতিটি অংশ থেকেই সেনাকে সরিয়ে দিতে হবে। না হলে এই আলোচনার কোনও অর্থই নেই। এভাবে আলোচনার মাঝপথে দুটি পয়েন্টে সেনা মোতায়েন নিয়ে চীন অনড় মনোভাব দেখানোয় ভারতও কঠোর হয়েছে। দু’দিন ধরে চলা বৈঠকে ভারত জানিয়ে দিয়েছে, পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেনা সরানোর প্রক্রিয়া সমাপ্ত হলেই। তাই পরবর্তী প্রশাসনিক বৈঠকের দিনক্ষণ নিয়ে বেজিং কথা বলতে চাইলেও ভারত সাফ জানিয়েছে, আগে সেনাস্তরের বৈঠকের ইতিবাচক ফিডব্যাক পাওয়া দরকার। বলা বাহুল্য, চীনের মনোভাব বুঝতে পেরে ভারতও পাল্টা চাপ দিতে শুরু করেছে।
ভারত ঠিক করেছে, পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সম্পূর্ণ বদলে দেওয়া হবে সীমান্ত প্রহরা। প্রতিটি পোস্টেই কড়া প্রহরার ব্যবস্থা হবে বলে ঠিক করছে ভারতীয় সেনা। সীমান্ত সংঘাতের মধ্যেই গোটা অংশ জুড়ে ভারত ফাইবার অপটিক কেবল, রাস্তা এবং সেতু নির্মাণ করে চলেছে। প্রথম সেনা স্তরের বৈঠকের পর ঠিক হয়েছিল, এই নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হবে। কিন্তু চীনের আগ্রাসী আক্রমণের পরই ভারত পুরোদমে কাজ শুরু করে দিয়েছে। রবিবারের বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র না মেলায় মনে করা হচ্ছে, ভারত ও চীনের এই সংঘাত আগামী শীতকাল পর্যন্ত চলবে। আর সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ভারতীয় সেনা নতুন করে প্রস্তুত হচ্ছে।