বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে চন্দ্রযান-২ পাঠিয়েছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো। চাঁদের মাটিতে হার্ড ল্যান্ডিং করায় ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ এবং ‘প্রজ্ঞান’ রোভারের সেই চন্দ্রাভিযান চূড়ান্ত সফল হয়নি। বিক্রম-প্রজ্ঞানের সঙ্গে ইসরোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ভারতীয় বিজ্ঞানীমহল তো বটেই মুষড়ে পড়েছিল আপামর দেশবাসী। তবে কয়েকমাসের মধ্যে চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রমকে চিহ্নিত করে শোরগোল ফেলে দেন চেন্নাইয়ের এই যুবক। নাসাও তাঁর দাবিকে স্বীকৃতি দেয়। ল্যান্ডার এবং রোভারের সঙ্গে ফের যোগাযোগের চেষ্টা শুরু করে আশাবাদী ইসরোও। সাড়া মেলেনি। তাই ইসরোর চন্দ্রযান-২ প্রকল্পকে আংশিক সফল (কারণ অরবিটার চাঁদের নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরছে) বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয় আন্তর্জাতিক মহল থেকে।
এই অভিযান সম্পূর্ণ সফল হল না কেন? গত বছর থেকেই তা নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু করে দিয়েছে ইসরো। মহাকাশ নিয়ে উৎসাহী অনেকেই এবিষয়ে নিজেদের মতো অনুসন্ধান চালাচ্ছেন। আর তা করতে গিয়েই ফের নতুন তথ্য হাতে এসেছে সন্মুগের। এবার চাঁদের মাটিতে তিনি খুঁজে পেয়েছেন রোভার প্রজ্ঞানকেও। ট্যুইট করে সেই তথ্য সবার সামনে তুলে ধরেছেন চেন্নাইয়ের এই ইঞ্জিনিয়ার। জানিয়েছেন, গত বছর নাসা যে ছবি প্রকাশ করেছিল, তা খুব স্পষ্ট ছিল না। তাই গত জানুযারি মাসে চাঁদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ফের বিক্রম ল্যান্ডার ভেঙে পড়ার জায়গার ছবি তোলে নাসার যান। গত মে মাসে সেই ছবি প্রকাশিত হয়। তা বিশ্লেষণ করেই সন্মুগের দাবি, বিক্রম ল্যান্ডারের থেকে অন্তত কয়েক মিটার দূরত্বে রয়েছে রোভার প্রজ্ঞান।
অনেকে মনে করতে পারে, ভেঙে পড়ার সময় ল্যান্ডার থেকে ছিটকে গিয়ে সেখানে পড়েছিল রোভার প্রজ্ঞান। যদিও সন্মুগের দাবি, মোটেই এমন কিছু হয়নি। কারণ মে মাসের ছবিতে চাঁদের মাটিতে প্রজ্ঞানের চলাচলের নমুনাও মিলেছে। এবিষয়ে আরও বিশ্লেষণ করার জন্য ইসরোকে সব ছবি এবং তথ্য ই-মেল করেছেন তিনি। ইসরোর এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, সন্মুগের দেওয়া তথ্যকে গুরুত্ব সহকারে যাচাই করা হচ্ছে। এটা সত্যি ঘটে থাকলে সত্যিই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে খুশির খবর হবে। যদিও সরকারিভাবে এই নিয়ে ইসরো কিছুই জানায়নি।