বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তবে ঈদুজ্জোহার ঠিক আগের দিন লকডাউন শুরু হওয়ায় বিতর্কের ঝড় উঠেছে ব্রিটেনজুড়ে। ব্র্যাডফোর্ডের মসজিদ সংগঠনের সভাপতি জুলফি করিম দাবি করেছেন, ‘এমন একটা সময়ে লকডাউন ঘোষণা করা হল, তাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বেশ ক্ষিপ্ত। তবে একত্রিত না হয়েও এই পরব পালন করব আমরা। খারাপটা কোথায় লাগবে জানেন? অনেকেই নাতি-নাতনিদের জন্য খেলনা কিনেছিলেন। সেগুলোর কী হবে! পরে হয়তো দেওয়া যাবে, কিন্তু এই মুহূর্তটা আর ফিরে আসবে না তখন।’ একধাপ এগিয়ে ব্রিটেনের একটি বেসরকারি চ্যানেলের সঞ্চালক আদিল বলেন, ‘বড়দিনের সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনলেন, আপনি কারও বাড়িতে যেতে পারবেন না। বন্ধু, পরিবার-পরিজন কারও সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। এককথায় এই লকডাউনকে একমাত্র এভাবেই ব্যাখ্যা করা যায়।’
এর উল্টো সুরও রয়েছে। কনজারভেটিভ পার্টির এমপি ক্রেগ হুইটকারের অভিযোগ, ‘বেম এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এখনও করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক বুঝতে পারছে না। তাঁরা যেভাবে সামাজিক দূরত্ববিধির নিয়মকানুন ভেঙে চলেছেন, তাতেই দ্বিতীয় দফায় ব্রিটেনে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।’ এর পাল্টা দিতে গিয়ে লেবার পার্টির এমপি মার্গারেট হগ বলেন, ‘উনি বল পাশ করার খেলায় মেতেছেন। আগে ছিল ইউরোপ, তারপর এল সেফ হোম। আর এখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। এভাবেই করোনা সঙ্কটের দায় অন্যের ঘাড়ে চাপাতে ব্যস্ত প্রশাসন।’ তবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ক্ষোভ প্রশমন করতে গিয়ে লিডসের প্রবীণ ইমাম কারি আসিম কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘প্রশাসনিক উদাসীনতায় বেম সম্প্রদায়ই ব্রিটেনে করোনা ভাইরাসের সর্বাধিক শিকার। তাই সরকারের এই নির্দেশ মেনে নিন। তাতে আমরাই ভালো থাকব।’