পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দেশীয় শিল্পকে চাঙ্গা করতে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্প ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শিল্পের বহর ছোট হোক বা বড়, বিদেশের উপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় প্রযুক্তি ও উপকরণে পণ্য তৈরিতে জোর দিয়েছেন তিনি। মোদির এই ডাকে সাড়া দিয়ে যাতে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকে চাঙ্গা করা যায়, তার প্রাথমিক হাতিয়ার হিসেবে রাখীবন্ধন উৎসবকে হাতিয়ার করেছিল ব্যবসায়ী মহল। দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রায় ৪৫ হাজার ছোট-বড় ব্যবসায়ী সংগঠন একযোগে ঠিক করে, তারা এবার রাখীর ক্ষেত্রে চীনকে বয়কট করবে। তাদের হিসেবে, রেডিমেড রাখী ও রাখী তৈরির উপকরণ মিলিয়ে দেশে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়, যার ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ আসে চীন থেকে। যদি দেশীয় উপকরণ দিয়ে দেশের মাটিতেই রাখী তৈরি করা যায়, তাহলে চীনকে কিছুটা প্যাঁচে ফেলা যাবে, এমনটাই মনে করা হয়।
এক্ষেত্রে রাখী তৈরির মাধ্যমে মোদির গুণগান গাইতে আসরে নামে দেশের প্রথম সারির একটি ট্রেডার সংগঠন। তারা মোদির লক্ষ লক্ষ ছোট ছবি বিলোতে শুরু করে বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মধ্যে, যাতে ওই ছবি দিয়েই রাখী বানানো যায়। কিন্তু, বাজার ঘুরে বোঝা যাচ্ছে, মোদি রাখী তো দূরের কথা, দেশীয় রাখী দোকানগুলিতে নেই বললেই চলে। কেন নেই? বড়বাজারেই এক দোকানির উত্তর, এত কম দামে রাখীর এত ভালো ‘ফিনিশিং’ এখানে দেওয়া সম্ভব নয়। জরি, পুঁতি, কাপড়, সুতো বা চকচকে যে সমস্ত পাথর রাখী তৈরিতে ব্যবহার করা হয়, তার মানও চীনা উপকরণগুলিরই ভালো। তাঁরা জানাচ্ছেন, রংবাহারি রাখী ছাড়াও এখন ছোটদের কাছে জনপ্রিয় হয়েছে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক রাখী। সেগুলি মূলত প্লাস্টিকের। তাতে আলো জ্বলে, বাজনা বাজে। বাজার ভেদে সেগুলির দাম ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা। সেই রাখীর ক্ষেত্রেও প্রায় গোটা বাজার দখল করে রেখেছে চীনই। কলকাতাও তার ব্যতিক্রম নয়। বড় শিল্প দূরে থাক— মাত্র একদিনের উৎসবের একরত্তি রাখীই বুঝিয়ে দিচ্ছে, বাজারে চীনের আগ্রাসন ঠিক কোন জায়গায় পৌঁছেছে।
-নিজস্ব চিত্র