গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সেই ২০১৪ থেকে অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করেছিল নাসা। পরবর্তীকালে এর সঙ্গে পরীক্ষামূলকভাবে যুক্ত হয় হেলিকপ্টার পাঠানোর ভাবনা। নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির (জেপিএল) বিজ্ঞানী দলের প্রচেষ্টায় অবশেষে বাস্তবায়িত হচ্ছে সেই ভাবনা। জেপিএলের যে কয়েকজন বিজ্ঞানীর পরিকল্পনায় এই হেলিকপ্টার তৈরি হয়েছে, তাঁদের অন্যতম কোন্নগরের বাঙালি বিজ্ঞানী গৌতম চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘মঙ্গলের আবহাওয়া পৃথিবীর মতো নয়। তাই এখানে হেলিকপ্টার ওড়ানো সহজ নয়। যতক্ষণ না চূড়ান্ত সাফল্য মিলছে, ততক্ষণ উদ্বেগ থাকবেই।’ প্রসঙ্গত, পৃথিবীতে ওড়ার সময় হেলিকপ্টারের ডানা যে গতিতে ঘোরে, তুলনায় লালগ্রহে তাকে অনেক বেশি গতিতে ঘুরতে হবে। তবেই বিজ্ঞানীদের পরিকল্পনা সফল হবে।
নাসার তরফে জানানো হয়েছে, পরীক্ষামূলকভাবে এই হেলিকপ্টার পাঠানো হচ্ছে। পরিকল্পনা সফল হলে লালগ্রহ নিয়ে গবেষণায় নতুন দিক খুলে যাবে। বিশেষ করে মঙ্গলের যে অংশে রোভার পৌঁছতে পারে না, সেখানকার ছবি উপর থেকে তুলতে পারবে ইনজেনুইটি। এতে থাকছে দু’টো ক্যামেরা (একটা রঙিন, অন্যটা সাদা-কালো)। এছাড়াও ভবিষ্যতে মঙ্গলের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে মহাকাশচারী এবং যন্ত্রপাতি দ্রুত পৌঁছে দিতে এই হেলিকপ্টার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে পরীক্ষাগারে মঙ্গল গ্রহের মতো পরিবেশ তৈরি করে উড়তে সক্ষম হয়েছিল ‘ইনজেনুইটি’। তারপরে আরও একাধিক ধাপ পেরিয়ে, অবশেষে ৩০ জুলাই এর যাত্রা শুরু হচ্ছে। এর মাঝেই গত একবছরে এই হেলিকপ্টারের নামকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল নাসা। তাতে শেষ পর্যন্ত ‘ইনজেনুইটি’ নামটি চূড়ান্ত হয়। কপ্টারের এই নাম দিয়েছিল ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছাত্রী ভানেজ্জা রূপানি। যা মনে ধরে যায় নাসার। এই প্রকল্পের ম্যানেজার মিমি আঙ এবং নাসার প্রশাসক জিম ব্রিডেনস্টাইনের কথায়, ‘এই প্রকল্প ভিনগ্রহে গবেষণার কাজকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেবে। তাই পরীক্ষামূলক হলেও, সকলেই এই গবেষণার সফল হওয়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছে।’